মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কথায় আছে কেন্দ্রের শাসকের পথ যায় উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন হয়ে। আজ সেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন তৃতীয় দফা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ১৬টি জেলা জুড়ে ৫৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। শেষ সন্ধ্যা ৬টায়। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা ভারত। বিজেপি ও বিজেপি বিরোধী শাসকের লড়াইয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই সরগরম ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এছাড়াও, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের খানিকটা ধারণা দেবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন।
উল্লেখ্য, রোববার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে পাখির চোখ যাদব পরিবারের শক্ত ঘাঁটি মইনপুরীর কারহাল আসন। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এই প্রথম রাজ্য নির্বাচনের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেল। ১৯৯২ সাল অর্থাৎ সমাজবাদী পার্টি গঠনের পর থেকে মাত্র একটি বার আসনে হেরেছেন অখিলেশ যাদবের দল। ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এই ৫৯টি আসনের মধ্যে ৪৯ আসন গিয়েছিল বিজেপির পকেটে। এসপি পেয়েছিল ৯টি আসন। পাশাপাশি, কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ১টি আসন। অন্যদিকে, বহুজন সমাজবাদী পার্টি খাতা খুলতেই ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য, রোববারের তৃতীয় দফার নির্বাচনে অন্যান্য বিশিষ্ট প্রার্থীরা হলেন এসপি প্রধানের কাকা শিবপাল সিং যাদব (যশবন্তনগর আসন), বিজেপির সতীশ মাহানা (কানপুরের মহারাজপুর), রামবীর উপাধ্যায় (হাথরাসের সাদাবাদ), অসীম অরুণ (কনৌজ সদর) এবং কংগ্রেসের লুইসি খুরশিদ (ফারুখাবাদ সদর)। লুইসি খুরশিদ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদের স্ত্রী।
রোববারের নির্বাচনের পর প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অর্ধেক ভোটগ্রহণ। দক্ষিণ উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে বিজেপির ২০১৭ সালে ১৯টি আসনের সবকটিই জিতেছিল। পূর্বে এই অঞ্চলটি ছিল বিএসপির শক্ত ঘাঁটি। পাশাপাশি, চিরকালের মতো মধ্যপ্রদেশের আসনগুলি সমাজবাদীদের শক্ত ঘাঁটি। আর ২০২২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে এই আসনগুলিতে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করতে হবে সপা’কে।
প্রসঙ্গত, কারহাল এবং গোরক্ষপুর দু’টি হাই-প্রোফাইল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বৈপরীত্য চরম। মইনপুর জেলায় কারহালে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি এবং এসপি নেতৃত্বাধীন জোটের মুখ অখিলেশ যাদব ত্রিমুখী লড়াইয়ে নেমেছেন। মাত্র তিন জন প্রার্থীই এবার কারহালে লড়বেন। অন্যদিকে, গোরক্ষপুর আসনে যেখান থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লড়াই করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সেখানে মোট ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। অখিলেশ এবং অদিত্যনাথ দু’জনেই এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। ৩ মার্চ ষষ্ঠ দফায় গোরক্ষপুর আসনে ভোট হওয়ার কথা।
বলা বাহুল্য, মইনপুরের কারহাল সমাজবাদী পার্টির একটি শক্ত ঘাঁটি। কারহালে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার যাদব ভোটার রয়েছেন। যেখানে শাক্য (ওবিসি) ভোটার প্রায় ৬০ হাজার, ব্রাহ্মণ এবং ঠাকুর ভোটার ২৫ হাজার, দলিত ভোটার ৪০ হাজার এবং মুসলিম ভোটার রয়েছেন ১৫ হাজার। এমতাবস্থায়, রোববারই হয় তো নির্ধারণ করতে পারে উত্তরপ্রদেশ ও এই দেশের আগামী ভবিষ্যৎ। সূত্র: এশিয়ানেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।