মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাবিশ্বে ‘নজর ঘুরিয়ে’ বৃহত্তম (এখনও পর্যন্ত) ছায়াপথের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তার আকার এবং আয়তনে তাক লেগে গিয়েছে তাদের। কীভাবে এই ছায়াপথের আয়তন এত বিরাট হল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
সদ্য খুঁজে পাওয়া এই ছায়াপথটির নাম ‘অ্যালসিওনিয়াস’। বিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে, এর প্রস্থের পরিমাপ ১ কোটি ৬৩ লাখ আলোকবর্ষ! এটির ব্যাস আমাদের মিল্কিওয়ের তুলনায় তুলনায় ১৬০ গুণ বেশি! এর আগে যে বৃহত্তম ছায়াপথের (আসি ১১০১) সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়েছিল, এটি তার থেকেও চারগুণ বড়। সেই ছায়াপথের বিস্তার ছিল ৩৯ লাখ আলোকবর্ষ। নয়া ছায়াপথের এই ব্যাপ্তি দেখেই তার নামকরণ করা হয়েছে ‘অ্যালসিওনিয়াস’।
গ্রিক পুরাণ অনুসারে, ‘অ্যালসিওনিয়াস’ আদতে এক বিশাল দৈত্য। যার লড়াই হয়েছিল হারকিউলিসের সঙ্গে। পৃথিবী থেকে ‘অ্যালসিওনিয়াস’-এর দূরত্ব প্রায় ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দৈত্যাকৃতির এই ছায়াপথ আদতে রেডিয়ো গ্যালাক্সির আদর্শ উদাহরণ। এর কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল, বিরাট একটি কৃষ্ণগহ্বর। তার চারপাশে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুকেই সেই ব্ল্যাক হোল গিলে খাচ্ছে! এখনও পর্যন্ত মানুষের আবিষ্কার করা ছায়াপথের মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যে জিনিসটা সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে, তা হল এর আয়তন। সত্যি বলতে কী, প্লাজমায় পরিপূর্ণ এই ধরনের বিরাট রেডিয়ো গ্যালাক্সির অবস্থান তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু, ‘অ্যালসিওনিয়াস’-এর গঠন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এর কেন্দ্রস্থল তুলনামূলক সাধারণ। সেক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিতে এর এমন বিস্তার ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তারা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের সেই অনুসন্ধান অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকরা প্রথমেই অত্যন্ত ভারী ছায়াপথের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পান। এরপর শুরু হয় তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ। লো ফিকুয়েন্সি অ্যারের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যান তারা। ইউরোপের মোট ৫২টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ হাজার রেডিও টেলিস্কোপের একটি সঙ্গবদ্ধ নেটওয়ার্ক এই কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, তারা আসলে একটি নির্দিষ্ট ছায়াপথ নিয়েই এতদিন তথ্য সংগ্রহ করেছেন! বলতে গেলে আকস্মিকভাবেই বিজ্ঞানীরা এই নয়া ছায়াপথটি আবিষ্কার করে ফেলেন। যার মোট ভর আমাদের সূর্যের ভরের তুলনায় প্রায় ২৪ হাজার কোটি গুণ বেশি! সূত্র: লাইভসায়েন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।