পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিত্যক্ত বাড়ি বিষয়ে কোনো মামলা কোর্ট অব সেটেলমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন থাকলে তা অচল হয়ে যাবে। অর্থাৎ পরিত্যক্ত বাড়ি বিষয়ে মামলা নিষ্পত্তি হবে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে। এজন্য কোনো আদেশ জারির প্রয়োজন হবে না। এমন বিধান যুক্ত করে আজ পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন ২০২২ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় উঠছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি আইনও উখাপন করা হতে পাবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রোববার সকাল ১২টায় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত হবেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইনকিলাবকে জানান, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশগুলোকে আইনে পরিণত করার নির্দেশনা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। এজন্য দ্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) অধ্যাদেশ ১৯৮৫-কে আইনে পরিণত করা উদ্যোগ নেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। খসড়া আইনে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। পরিত্যাক্ত সম্পত্তির বিষয়ে প্রণীত আইনে আরও বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিত্যক্ত বাড়ি হিসাবে দখল গ্রহণ করা হয়েছে এমন বাড়ি আদালত কর্তৃক ফেরত প্রদান বা হস্তান্তরের আদেশ হলে দখলকালিন কোনো ভাড়া অথবা ক্ষতিপূরণের মামলা চলবে না।
আইনে বলা হয়েছে, কোনো বাড়ির ওপর কোনো অধিকার কিংবা স্বার্থ আছে দাবিদার ব্যক্তি সরকারি গেজেটে তালিকাটি প্রকাশিত হওয়ার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ওই তালিকা থেকে উক্ত বাড়িটি বাদ দেওয়ার জন্য কিংবা অন্য কোনো প্রতিকারের জন্য এই যুক্তিতে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে আবেদন করতে পারবেন যে, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি নয় এবং প্রেসিডেন্টের আদেশের অধীনে উহা সরকারের কাছে অর্পিত হয়নি। কিংবা ওই আদেশের বিধানাবলি দ্বারা বাড়িটির উপর তার স্বার্থ বা অধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি। তবে ইতিপূর্বে যে সব বাড়ির মামলায় আদালত কর্তৃক সরকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব বাড়ির ক্ষেত্রে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে স্বার্থ দাবি করে কেউ মামলা করতে পারবে না।
কোর্ট অব সেটেলমেন্ট বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এলাকা বা এলাকাসমূহের জন্য এক বা একাধিক কোর্ট অব সেটেলমেন্ট স্থাপন করতে পারবে। কোর্ট অব সেটেলমেন্টে একজন চেয়ারম্যান এবং দুজন সদস্য থাকবেন। চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বা অতিরিক্ত বিচারপতি পদে আছেন বা ছিলেন কিংবা উক্ত পদের যোগ্য। অপর দু’জন সদস্যের মধ্যে একজন হবেন বিচারিক কর্মকর্তা যিনি অতিরিক্ত জেলা জজ পদে আছেন বা ছিলেন। আর অপর সদস্য হবে কমপক্ষে উপসচিব মর্যাদার কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর বনানী এলাকার এক বাসিন্দার ইনকিলাবকে জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাঙ্গালী বাসিন্দার ৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাড়িভাড়া দিয়ে বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ও চাকরিতে গিয়েছেন। কিন্তু ৮০ থেকে ৮৬ সালে দেশে ফিরে দেখেন তার নিজস্ব বাড়ি আর তার দখলে নেই। আবার অনেক বাড়িতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে দখল করেছেন। আবার অনেক বাড়ি সরকার ৮৬ সালে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত থাকার দরকার বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।