দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলার মুষ্টিবাজ
শেখ সাদী | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:০৫ পিএম
সবুজে ঘেরা মাঠের চারদিকে উঁচু দালান। ছোট খেলার মাঠটি যেন টুকরো সবুজের অরণ্যে। মাঝে উজ্জ্বল মঞ্চ। চারদিকে আলোর ঝলকানি, দর্শকদের উল্লাস। রিংয়ে আসার জন্য বক্সারদের ঘিরে আসছে তাদের সহযোগীরা। দারুণ সাজে রিংয়ে ঢুকছেন বক্সাররা। সঙ্গে আছে দর্শকদের হৈ হুল্লোড়।
দৃশ্যগুলো দেখলে চোখে ভাসবে দুবাইয়ের কোনো বক্সিং প্রতিযোগিতার কথা! এ জাঁকজমক বক্সিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট ও প্রমোশন। প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে ঢাকার বনানীর সোয়াট মাঠে শনিবার সন্ধ্যায় মুষ্টিযুদ্ধ বা বক্সিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বক্সিংকে এগিয়ে নেওয়া ও উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবেই দেশসেরা বক্সারদের নিয়ে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা। বক্সিংয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতেও এমন আয়োজন খুব বেশি একটা চোখে পড়ে না।
প্রতিযোগিতায় দেশে বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণ মুষ্টিযোদ্ধারা এতে অংশ গ্রহণ করেন। দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে নেশা ও সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন বলে জানান ‘এক্সেল স্পোর্টস প্রমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট’এর চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন।
বক্সিং বা শারীরিক শক্তিমত্তার খেলাকে দেশব্যাপী আরও জনপ্রিয় করার লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট ও প্রমোশন। এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার আদনান হারুন বলেন, ‘দেশের বক্সিংকে বহুদূর এগিয়ে নিতে বক্সিংয়ের উন্নতির জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বক্সিং ছড়িয়ে দেয়া। এখান থেকে যেন ভালো মানের বক্সার বেড়িয়ে আসে। যারা অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে পারে এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘১৯৫২ সালের ভাষা শহীদের স্মরণে ‘এক্সেল স্পোর্টস প্রমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট’‘বাংলার মুষ্টিবাজ’-ভাষা শহীদদের স্মরণে এই মুষ্টিযুদ্ধ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের এই উদ্যোগ দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে।
প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাবে ৮টি ওজন (শ্রেনিতে) মোট ১৬ জন বক্সার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তারা হলেন, রাকিব (ঢাকা) ও আবু বক্কার (ঢাকা)। (কুমিল্লার) তৃষান ও (লালমনিরহাট) রানা। সিদ্দিক (বান্দরবান) ও (রাজশাহী) শান্ত। হীরা মিয়া (ঢাকা) ও রাজু (মাগুরা)। আমিনুল (বরিশাল) ও বাবুল রেজা (আলমডাঙ্গা)। শিমান্ত (ঢাকা) ও রাশেদ (ঢাকা)। পলক (নোয়াখালী) ও মোহন আলী (রাজশাহী)। শাজিন (ঝালুকাঠি) ও নুর (কিশোরনগঞ্জ)।
-(9).jpeg)
