মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং পোল্যান্ডে আঘাত হানা এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ২ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ঝড়ের কারণে ব্রিটেনের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইউনিস পশ্চিম ইউরোপজুড়ে ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি চলাচল ব্যাহত করেছে। কার্যত পুরো ইউরোপকে থামিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইউনিস।
ঝড়ের কারণে ব্রিটেনের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইউনিস পশ্চিম ইউরোপজুড়ে ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি চলাচল ব্যাহত করেছে। কার্যত পুরো ইউরোপকে থামিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইউনিস।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিস রেড অ্যালার্ট জারি করার পর পুরো লন্ডন ফাঁকা হয়ে যায়। মানুষজন বুঝে যায় যে এখানে থাকাটা জীবনের জন্য বিপজ্জনক। পুলিশ জানায়, এত সতর্কতার পরেও লন্ডনের একটি রাস্তায় একটি গাড়ির ওপর গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়, যেখানে ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি সম্ভবত গাড়ি নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছিলেন।
এদিকে, মারসিসাইড পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে একটি গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন।
এ ছাড়া, নেদারল্যান্ডসে তিনজন এবং দক্ষিণ-পূর্ব আয়ারল্যান্ডে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ ছাড়া বেলজিয়ামে ৭৯ বছর বয়সী একজন কানাডীয় লোক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নেদারল্যান্ডসের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ গ্রোনিংজেনের অ্যাডর্পের কাছে একটি রাস্তায় গাছের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লেগে একজন মোটরচালক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হেগ শহরে গির্জার চূড়া ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় কয়েক ডজন বাড়ি খালি করা হয়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গির্জার খাঁড়া অংশটি নড়বড় করছে। এ ছাড়া একটি গাড়ির ওপর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের পূর্বসতর্কতা হিসেবে লন্ডন ছাড়াও দক্ষিণ ইংল্যান্ড, সাউথ ওয়েলস এবং নেদারল্যান্ডসজুড়ে সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। অনেক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ইউনিসের আঘাতে সমুদ্র উপকূল ভেসে যায় এবং রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের কারণে ইংল্যান্ডের ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৯৬ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ইউনিস প্রবাহিত হয়েছে। এটিই ইংল্যান্ডে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ দমকা হাওয়া। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।