মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জমি পড়ে আছে, বোর্ড লাগানো হয়েছে, কিন্তু তারপর কিছু হয়নি। ২২ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের কাজ যখন পুরোদমে চলছে, তখন বাবরির বিকল্প মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা পড়ে আছে চুপচাপ। প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতো। ধন্নিপুরের নিস্তরঙ্গ জীবনে মসজিদ কেন্দ্র করে কোনো তাপউত্তাপ নেই। আছে শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে কাজ শুরু ও শেষ হবে?
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর কেটে গিয়েছে ঠিক দু’টি বছর। এটা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি। দু’বছর ধরে ‘ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন’-এর তত্ত্বাবধানে এখানে মসজিদ তৈরির কাজ চলছে বলে শোনা গেলেও নির্মীয়মাণ মসজিদের কোন অস্তিত্ব নেই। যতদূর দখা যায়, চারদিকে শুধু ধু-ধু ফাঁকা জমি। ছাগল চরছে। আরও অন্তত গোটাচারেক বোর্ড সেই ‘ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন’-এর। এ ছাড়া আর কোথাও কোনও প্রাণের নড়াচড়া নেই।
কিন্তু ওই ছবিটুকুই সার। গেটহীন চত্বরে ঢুকলেই দেখা যাবে, দুই পাশে গোটাকয়েক ছাগল বাঁধা আছে। ঘাসের মাঠ পেরিয়ে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে কিছুটা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। আগে এই জমি ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারাই বীজতলা বানিয়ে চাষ করত। চারদিকে তাকালে এই ধুধু মাঠ, বীজতলা, ছোট আমবাগান দেখতে দেখতে প্রশ্ন জাগে, মসজিদ কই? বাবরির বিকল্প মসজিদ? যে মসজিদ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
অল ইন্ডিয়া বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতা ও আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি, এআইএমআইএম নেতা ও সাংসদ ওয়েইসি আগেই বলেছেন, তারা সরকারের দেয়া জমিতে মসজিদ করার পক্ষে নন। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এই জমিতে মসজিদ বানাতে রাজি হয়েছে। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে। তারাই মসজিদ, কলেজ, হাসপাতাল করবে। পুরো জমির বিভিন্ন পাশে গোটা চারেক বোর্ড লাগিয়েই আপাতত কাজ সেরেছে তারা। এই ধন্নিপুর ও তার আশপাশের গ্রাম হলো সুন্নিপ্রধান।
ধন্নিপুরে শুধু মসজিদ হবে না, সঙ্গে থাকবে একটা হাসপাতাল, কলেজ। ধন্নিপুরের মানুষ হাসপাতাল, কলেজের দাবি নিয়েই বেশি সোচ্চার। ইসলাম খানের বাড়ি ঠিক প্রস্তাবিত মসজিদের উল্টোদিকে। তিনি বলছিলেন, মসজিদ আমাদের গ্রামে আছে। তাই আরেকটা ছোট করে মসজিদ হতে পারে। কিন্তু এখানে বড় করে হাসপাতাল ও কলেজ দরকার। ইসলাম জানিয়েছেন, কারো গুরুতর অসুখ করলে লখনউ নিয়ে যেতে হয়। আর গ্রামে মেয়েদের জন্য ক্লাস এইট পর্যন্ত স্কুল আছে। আর একটা প্রাইমারি স্কুল আছে। তাই তাদের দরকার কলেজ ও হাসপাতাল।
ইসলাম যখন এই কথা বলছেন, তখন সাইকেল থামিয়ে যাদবজি তাকে সমর্থন করে বললেন, ‘আমাদের এখানে হিন্দু-মুসলমানে কোনো ঝগড়া নেই। আমরাও কলেজ-হাসপাতাল চাই।’ কিন্তু কবে? আক্ষেপ করে ইসলাম বলছিলেন, ‘মনে হয় না, জীবদ্দশায় মসজিদ দেখে যেতে পারব।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।