মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সঙ্গে চরম কূটনৈতিক বৈরিতা চলছে তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের; কিন্তু তা সমাধানে দেশটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপোসে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও নিজেদের ভবিষ্যতকে রক্ষায় ইউক্রেনের জনগণ ন্যাটোর ওপর আস্থা রাখতে চায়। -বিবিসি, ডেইলি সাবাহ
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভে বিবিসিকে সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইউক্রেনের ভলোদমির জেলনস্কি। সাক্ষাৎকারে বিবিসির সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি ভাবছেন কিনা। প্রশ্নের উত্তরে জেলনস্কি বলেন, আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বললে অন্যরা কীভাবে নেবে, তা আমি ঠিক জানি না; কারণ অনেকেই বলছেন, আমরা নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইছি। ‘কিন্তু কীসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা? এটা কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে আমরা ১৫ হাজার ইউক্রেনবাসীকে হারিয়েছি। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন এবং জনগণ তাদের জীবন ও দেশের নিরাপত্তা চায়। তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি কেবল নেটো সম্পর্কিত নয়; এটি জনগণের ভবিষ্যতের ব্যাপার। নেটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি কেবল এর সদস্যপদ পাওয়া নয়। আমরা যদি নেটো, ইইউ, আপাত অধিকৃত অঞ্চল নিয়ে কথা বলি—তাহলে আমরা আমাদের স্বাধীনতার বিষয়েই কথা বলছি।
ইউক্রেনের প্রকৃত অবস্থান এটাই। অর্থাৎ আমরা কী চাই এবং ভবিষ্যতে কী করব তা আমরাই নির্ধারণ করতে চাইছি। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যাডিম প্রিসতাইকো বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিন দিক থেকে সৈন্য আর সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে রাশিয়া ঘিরে ফেলায় পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য যুদ্ধের যে দামামা বাজছে—তা প্রশমনে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন ফিরিয়ে নিতে পারে ইউক্রেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এক অর্থে সেই সম্ভাবনা বাতিল করে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা। গত দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, মূলত সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। কারণ, ১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী। মস্কো অবশ্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বলেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা দেশটির নেই; রাশিয়া কেবল ন্যাটোর তৎপরতা থেকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরা মস্কোর এই বক্তব্যে একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।