Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাইনোসর ছিল যাদের খাবার!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৯ এএম

পৃথিবী নামক গ্রহের মাটি কেঁপে উঠত অতিকায় ডাইনোসরদের পদভারে। কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক সেই জগতের একমাত্র ‘শাসক’ কি তারাই ছিল? না, বিশালাকার প্রাণীদের সেই জমানায় এমন প্রাণীও ছিল, যাদের কাছে ডাইনোরা ছিল স্রেফ খাবার! এমনই দাবি গবেষকদের।
গবেষকদের দাবির পরই মিলেছে এমনই এক আশ্চর্য প্রাণীর দেহাবশেষ। যার পেটে রয়ে গেছে একটি আস্ত ডাইনোসর! সেই প্রাণীটি ছিল বর্তমানের কুমিরের পূর্বপুরুষ। যদিও ধারে ভারে তাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে তারা। নাম সারকোসুকাস।

কেমন ছিল এই রাক্ষুসে কুমির? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আজকের কুমিরের চেয়ে কয়েকগুণ ভারী এবং বিশালাকার ছিল এরা। মোটামুটি সাড়ে ৯ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত। সারকোসুকাস লম্বায় ছিল প্রায় ৩১ ফুট। দেহের ওজন ছিল সাড়ে তিন হাজার কেজিরও বেশি। চোয়ালের উপরের পাটিতে ছিল ৩৫টি দাঁত। আর নিচের পাটিতে ৩১টি। মোট ৬৬টি দাঁতে মুহূর্তে শিকারকে চিবিয়ে খেতে সিদ্ধহস্ত ছিল এই ভয়ঙ্কর প্রাণীরা।
দূরবীনের মতো চোখ ছিল। রাতের অন্ধকারেও শিকার ধরতে ছিল পটু। আর এহেন কুমিররা ছিল সেযুগের ডাইনোসরদেরও যম! তেমনই প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক আবিষ্কারে। পূর্ণবয়স্ক থেরোপড ডাইনোসরকে অনায়াসে কাবু করতে পারত তারা।

‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর গোন্ডওয়ানা রিসার্চ’-এর জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র।
গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রাপ্ত ওই কুমিরের কঙ্কালের কথা। কঙ্কালটিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্ক্যান করে এর ত্রিমাত্রিক শরীরকে ফিরিয়ে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে সেই প্রাগৈতিহাসিক কুমিরদের কাণ্ডকারখানা আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হয়েছে। সূত্র ; সিএনএন, এনওয়াই পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ