Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক শূন্যতায় পাঠদান ব্যাহতের আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে

কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ভাইবোন ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ২১ বছর যাবত জাতীয়করণ না করার ফলে শিক্ষরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত। উপজাতীয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কায় অভিভাবকরা। সরেজমিন দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ১নং ওয়ার্ডের ভাইবোন ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার ফলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এবং বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক ধারা পরিচালিত একজন সহকারী শিক্ষক সম্প্রতি মারা যায়। বেসরকারি এনজিও সংস্থা গ্রীন হীল ৫ জনের মধ্যে দু’জন শিক্ষক ঐ বিদ্যালয়ে রয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে গ্রীন হীলের প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী উক্ত বিদ্যালয়ে তাদের পক্ষ হতে শিক্ষক না পাওয়া গেলে বিদ্যালয়টি শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে। যার ফলে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক উষাকান্তি তংচঙ্গ্যা বলেন, ২১ বছর যাবত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি এবং দুর্গম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো দিচ্ছে কিন্তু অদ্যাবধি জাতীয়করণ না করার ফলে হতাশায় ভুগছি। তিনি বলেন, স্কুলটি জাতীয়করণ করার জন্য তৃতীয় পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার ফলে অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান। বিদ্যালয়ে সভাপতি এবং ইউপি সদস্য সুজয় বিকাশ চাকমা বলেন, বিদ্যালয়টি পরিচালনা এবং জাতীয়করণের জন্য সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিদ্যালয় উন্নয়নের সকল কাজও করছি। শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে বেতন ভাতা ছাড়া দীর্ঘ বছর যাবত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের নিকট একটি দাবি জানাই অতিদ্রুত এটি জাতীয়করণের জন্য ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানান। আর তা না হলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো হতে অতিদ্রুত ঝড়ে পড়বে নিশ্চিত। কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উক্ত বিদ্যালয়ে পাশের হার শতভাগ সেখানে আবশ্যই জাতীয়করণ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। দ্রুত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করার আহ্বান জানান। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম উক্ত শিক্ষার্থীদের গত মাসের শেষ সপ্তাহে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স, পানির বোতল প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠে। এবং তিনি এ স্কুলের মান দেখে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করে। বিদ্যালয়টি অতিদ্রুত জাতীয়করণ না করা হলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার উপজাতীয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো হতে ঝড়ে পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষক শূন্যতায় পাঠদান ব্যাহতের আশঙ্কা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ