মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কমপক্ষে এক ডজন অভিবাসী পরস্পরের মুখ সেলাই করেছেন। এর কারন হচ্ছে মেক্সিকো হয়ে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছাতে চান। নথিপত্রহীন এসব অভিবাসীরা মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থান করছেন। তারা মেক্সিকো হয়ে মার্কিন সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি আদায়ে ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করে মুখ সেলাই করা অভিবাসীদের অনেকের ছবি গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের। সুই ও প্লাস্টিকের সুতা ব্যবহার করে তারা একে অপরের মুখ সেলাই করতে সহায়তা করেন।
নিজেদের ঠোঁট সেলাই করা হলেও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য মুখ একটু ফাঁকা রাখা হচ্ছে। সেলাইয়ের সময় রক্ত বন্ধ করতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ইরিনিও মুজিকা নামে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক কর্মী বলেছেন, ‘প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিজেদের ঠোঁট দু’টি একসঙ্গে সেলাই করেছেন অভিবাসীরা। অভিবাসীরাও মানুষ এবং তাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা আশা করি, জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউট এই বিষয়টি দেখতে পাবে।’
গুয়েতেমালার সীমান্তবর্তী তাপাচুলা শহরের এই নাটকীয় প্রতিবাদে অংশ নেওয়াদের অনেকে তাদের সন্তানদেরও সঙ্গে রেখেছেন। ইয়োরজেলিস রিভেরা নামে ভেনিজুয়েলার এক নারী বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্য এটি করছি। সে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে কিছুই খায়নি। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা কোনো সমাধানমূলক উদ্যোগও দেখতে পারছি না।’
সীমান্তে আটকে থাকা এসব অভিবাসীদের ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মেক্সিকোর অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তবে তারা জানিয়েছে, মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে অবস্থিত তাদের দফতরে প্রতিদিন এ বিষয়ক শতাধিক আবেদন জমা পড়ছে। আশ্রয়প্রার্থী এসব মানুষের বেশিরভাগই হাইতি ও হন্ডুরাসের বাসিন্দা। সূত্র : রয়টার্স, সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।