প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অবশ্য গয়না নিয়ে অনেকেই তাকে নাকি নানা কথা শুনিয়েছেন। তাতে অবশ্য গা করেননি এই শিল্পী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কাউকে দেখানোর জন্য নয়, বরং তার ভালো লাগা থেকেই এটা পরতেন।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী। বিনোদন জগতে একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। মূলত ডিস্কো ঘরানার গানের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। তবে শুধু গানই নয়, কিছুটা ভিন্ন ‘লুকের’ জন্যও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন বাপ্পি লাহিড়ী। তার জুয়েলারি কালেকশন ছিল যেকোনো গয়নাপ্রেমীর কাছে ঈর্ষণীয়। তাকে বলিউডের ‘গোল্ডেন ম্যান’ বলা হতো। কোনো সময়ই সোনার হার, ব্রেসলেট, আংটি ছাড়া দেখা যেতো না তাকে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, গয়নার প্রতি তার ভালোবাসার কারণ।
জিনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ী বলেছিলেন, তার অনন্য লুকের অনুপ্রেরণা যুক্তরাষ্ট্রের রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলি।
তিনি বলেন, ‘এলভিস প্রেসলি সোনার চেইন পরতেন। আমি তার বড় ভক্ত ছিলাম। আমি তার গয়না পরা খুবই পছন্দ করতাম। সে সময় আমি ভাবতাম, যখন প্রতিষ্ঠিত হবো তখন আমি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করব। এরপর যখন আমি সফল হই। সোনা কেনার আর্থিক ক্ষমতা অর্জন করি, তখন আমি একের পর এক গয়না কিনি।’
‘সোনার গয়না পরা খুব সৌভাগ্যের বস্তু ছিল আমার কাছে। তাই সেটিও একটি কারণ ছিল’, বলেন বাপ্পি লাহিড়ী।
সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তার কাছে যত ধরনের সোনার গয়না, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের চেইন ও আংটি সংরক্ষিত রয়েছে, তা অনেক গয়নাপ্রেমী নারীদের কাছেও নেই।
জনপ্রিয় এই শিল্পী গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ৬৯ বছর বয়সে মারা যান। মুম্বাইয়ের ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীপক নামজোশির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় সিনেমা ডিস্কো ঘরানার সংগীতের প্রবর্তক বলা হয় বাপ্পী লাহিড়ীকে। তিনি ভারতে বিশেষ করে বলিউডে ৮০ ও ৯০-এর দশকে ডিস্কো গানকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এসব গানে তার ছিল একটা আলাদা গায়কী বা ঢং। বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যাপক জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডিস্কো ড্যানসার’, ‘চালতে চালতে’, ‘ড্যান্স ড্যান্স’, ‘নামাক হালাল’-এর মতো অসংখ্য গান।
নিজের সুর করা বেশ কিছু গানও গেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোয়ি ইয়াহা নাচে নাচে’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘পেয়ার বিনা চ্যান কাহা’। বাংলা সিনেমাতেও বাপ্পী লাহিড়ী অসংখ্য গানের সুর করেছেন।
বাপ্পীর জন্য পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর। তার আসল নাম আলোকেশ বাপ্পী লাহিড়ী। তার মা-বাবা দুজনেই ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।