Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসএফের বাধায় আখাউড়া-লাকসাম রেলের প্রকল্প বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:০৯ পিএম | আপডেট : ১:২৩ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ‘ডাবল লাইন’ রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণকাজ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। একাধিকবার খরচ ও সময় বাড়ানোর পরও বাধার কারণে কাজ শেষ হচ্ছে না।

ডিপিপির (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) অতিরিক্ত খরচের কারণে এখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ কারণে ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রেখে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব যাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে। কেবল খরচ বাড়ানোর মাধ্যমেই সমাধান হচ্ছে না। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথের নির্মাণকাজ সচল করতে নানামুখী চেষ্টা করা হয়। বিএসএফের তিন দফা বাধায় কসবা ও সালদা নদী স্টেশনসংলগ্ন কাজ আটকে আছে। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

এ নিয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠক এবং চিঠি চালাচালি করেও সমাধান করতে পারেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়। ভারতীয় হাইকমিশনারকে লিখিতভাবে অবগত এবং বৈঠক করেও সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য রেলওয়ের আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প পরিচালককেও বৈঠকে অংশ নিতে মনোনীত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসংক্রান্ত চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিএসএফের আপত্তির কারণে সালদা নদী এবং কসবা স্টেশন এলাকায় কাজ বন্ধ গত বছর থেকেই। সালদা নদীর স্টেশন এলাকার নির্মাণাধীন ২৬১ নম্বর সেতুর কাজ প্রথম বন্ধ থাকে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এরও পর ওই বছরের ১০ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর কাজ করতে গেলে পুনরায় বাধা আসে। একপর্যায়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ভারতীয় হাইকমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করে ডিও লেটার দেন। একই বছরের ২ আগস্ট ও ৩১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও সুরাহার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এর পর গত ১ জানুয়ারি বিজিবির লেফটেনেন্ট কর্নেল পর্যায়ের কর্মকর্তার টেলিফোনে আলোচনার মাধ্যমে সালদা নদী স্টেশনসংলগ্ন কাজ শুরু হয়। তার পর ১৩ জানুয়ারি পুনরায় কাজ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ।

অন্যদিকে কসবা স্টেশন এলাকার কাজ আজ পর্যন্ত শুরুই করা যায়নি। ফলে সার্বিকভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। একই কারণে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয় গত ২ ফেব্রুয়ারি রেল মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় (পিএসসি) তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) যুগ্ম সচিব সমস্যা সমাধানে দ্রুত বিষয়টি ইআরডির সচিবকে জানাতে তাগিদ দেন। তা ছাড়া প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রস্তাবে সব যুক্তি তুলে ধরতে পরামর্শ দেন ইআরডির প্রতিনিধি।



 

Show all comments
  • iqbal ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৪ পিএম says : 0
    Aita ke bole bharot.Asol porichoy bharoter. So always be careful from india.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসএফ

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ