পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রায়ই বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কর্মরত কৃষক ও রাখালদের মারধর করে থাকে। গত রোববার দুপুরে বিএসএফের একদল সদস্য বাংলাদেশের গোদাগাড়ীর সীমান্ত এলাকার ভেতরে ঢুকে রাখালদের মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে রাখালদের প্রতিরোধের মুখে তারা দুটি রাইফেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে অস্ত্র দুটি বিএসএফকে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তের এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি রাখাল ও দুই বিএসএফ জওয়ান আহত হয়েছেন বলে বিজিবি রাজশাহী ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান।
গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, গোদাগাড়ীর মোল্লাপাড়া ও খরচাকাসহ আশপাশের গ্রামের রাখালেরা পদ্মা নদীর সীমান্তবর্তী নির্মল চরে মহিষ চরাতে যান। গত রোববার দুপুরে দুই বিএসএফ সদস্য ভারতীয় দুই নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে রাখালদের মহিষ চরাতে বাধা দেন। তর্কাতকির একপর্যায়ে বিএসএফ জওয়ানেরা রাইফেল দিয়ে এক রাখালের মাথা ফাটিয়ে দেন। তাকে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। আরো প্রায় ৮-১০ জন রাখাল প্রতিরোধ করতে যান, তারা বিএসএফ জওয়ানদের রাইফেল কেড়ে নেন। দু’পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে তিন রাখাল ও দুই বিএসএফ জওয়ান আহত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিএসএফ জওয়ানেরা রাইফেল ফেলেই পালিয়ে যান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিএসএফ জওয়ানেরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েন। রাখালদের প্রতিরোধের মুখে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা চরে গিয়ে রাখালদের কাছ থেকে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে। বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এই বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি বিএসএফের অস্ত্র দুটি ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।