Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কটাক্ষের মূল কারণ ৪৯৯!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

হিজাব পরায় কর্নাটকের ছাত্রী মুসকান খানকে গেরুয়া বাহিনীর হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল। আর কাশ্মীরে ঘটেছে ঠিক উল্টো। জম্মু কাশ্মীর অ্যান্ড বোর্ড অব স্কুল এডুকেশনের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন আরুসা পারভেজ। সেই কৃতী ছাত্রীকে সমাজমাধ্যমে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়তে হল হিজাব না পরায়। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আরুসা শ্রীনগরের ইলাহি বাগ সৌরার বাসিন্দা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সেখানে মোট ৫০০ মধ্যে আরুসার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। তাক লাগানো সাফল্যের পরেই উপত্যকায় সকলের নজরে এসেছিলেন তিনি। তার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারে বইতে শুরু করে খুশির বন্যা। নানা দিক থেকে অভিনন্দন বার্তাও আসতে থাকে।
কিন্তু একই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে অশালীন মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আরুসা। পরীক্ষায় সাফল্যের আনন্দ কার্যত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে এই কিশোরীর। আরুসাকে নির্লজ্জ বলে দাগিয়ে দিয়ে তার শিরচ্ছেদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
তবে আরুসা জানিয়েছেন, তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্যে কিছু এসে যায় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিশানা করা হচ্ছে তার অভিভাবককেও। আরুসা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি মুসলিম। হিজাব পরি কি না-পরি, তাতে আমার ধর্মীয় বিশ্বাসে কোনও প্রভাব পড়ে না।’
নেটনাগরিকদের অনেকের মতে, হিজাব না পরার জন্যই যে শুধুমাত্র আরুসার উদ্দেশে কটূক্তি করা হচ্ছে, তা নয়। ছেলেদের প্রথম হওয়ার রীতি ভেঙে সামনে আসায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটা অংশের নিশানায় এই কাশ্মীরি কন্যা। এ ক্ষেত্রে হিজাব না পরাকে ঢাল করা হচ্ছে মাত্র।
গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আসাদুল্লা মীর জানিয়েছেন, আরুসার সঙ্গে যা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনায় ওই কিশোরী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে। ইসলাম কখনোই সমাজমাধ্যমে কুকথা কিংবা ফতোয়া জারির অনুমতি দেয় না। সূত্র : কাশ্মীর অবজারভার, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ