পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সমস্যাপূর্ণ হলে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ মসৃণ নাও হতে পারে। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা বাংলাদেশে বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা যে দেশে বিনিয়োগ করতে চায় সেখানে আইনের শাসন আছে কিনা দেখতে চায়। যদি নির্বাচন সমস্যাপূর্ণ হয়, তবে যে ধরনের উত্তরণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটা না-ও হতে পারে। যদি নির্বাচন নিয়ে বড় সমস্যা হয় তবে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের বিষয়ে হয়তো নতুন করে চিন্তা করবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার মনে করেন, আগামীতে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্তভাবে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
রবার্ট ডিকসন বলেন, বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন স্বাধীন, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হলে বাংলাদেশের ওপর আস্থা অনেক বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করি। এ ক্ষেত্রে আমরা চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেবো। সেগুলো হলো- সব দলের অংশগ্রহণ, সবাই যেন ভয়-ভীতি ছাড়া ভোট দিতে পারে, ভোট যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয় এবং সব দল যেন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়।
বাংলাদেশে গুম-খুন নিয়ে যুক্তরাজ্য চিন্তিত কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলছি। বাংলাদেশ থেকে অনেক অপরাধী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, এটা একটি আইনগত প্রক্রিয়ার বিষয়। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আদালত স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে আমরা এই সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাই। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ সি-১৩০ বিমান ক্রয় করেছে। নৌবাহিনীর সামরিক সরঞ্জামের জন্যও বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে সহযোগিতা নিচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা প্রসঙ্গ তুলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা ভালো হলে তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশ এখনো তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে। তাদের খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে এমনকী কোভিডকালীনও তাদের নিরাপদ রাখতে ভূমিকা নিয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এই হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।