মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের গুজরাটে পিজা হাট, কেএফসি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুন্দাই ও কেআইএর কয়েক ডজন দোকান এবং শোরুম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে করা এক টুইটকে ঘিরে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা গুজরাটে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের দোকান এবং শোরুম বন্ধ করে দিয়েছে। -রয়টার্স
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী ওই দুই গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সুরাটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া ভিএইচপির কোষাধ্যক্ষ দীনেশ নবদিয়া বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সংস্থাগুলো ভারতে ব্যবসা করতে পারে না। একই সাথে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকেও সমর্থন জানাতে পারে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের বজরং দল এবং ভিএইচপির শতাধিক সদস্য ওই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তাদের অনেকে ‘কাশ্মীর আমাদের’ বলে স্লোগান দেন। এই দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের পরনে গেরুয়া স্কার্ফ পরা ছিল।
সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান— উভয় দেশেই কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। উভয় দেশ কাশ্মীরের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ করলেও দুই কাশ্মীরের সম্পূর্ণ মালিকানারও দাবি করে। বিজেপি কয়েক দশক ধরে ভারতের সংবিধানে নিশ্চিত করা ভারত-শাসিত কাশ্মীরের সীমিত স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল। ২০১৯ সালের আগস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেন। ১৯৪৭ সালের এক চুক্তির আওতায় এই অঞ্চলের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের কথা ছিল নয়াদিল্লির। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে দিয়েছে ভারত।
স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে নাগরিক স্বাধীনতা পদদলিত এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ করেছে। কাশ্মীরিরা বলেছেন, নতুন যে আইন পাস করা হয়েছে, তা স্থানীয় জনগণের স্বার্থবিরোধী। ভারত বলছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরে নয়াদিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কেবলমাত্র কাশ্মীরি জনগণের প্রতি কূটনৈতিক এবং নৈতিক সমর্থন জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।