মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান ৯/১১ হামলার শিকারদের জন্য আমেরিকায় থাকা আফগান তহবিলের অর্ধেক বরাদ্দ করার মার্কিন সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং বলেছে যে, আফগানিস্তানের তহবিল কিভাবে ব্যবহার করা হবে সেটি ‘আফগানদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে জমা রাখা আফগানিস্তানের ৭০০ কোটি ডলারের রিজার্ভের অর্ধেক ৯/১১ হামলার শিকারদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য এবং বাকি অর্ধেক আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিতর্কিত এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
এমনকি ৯/১১ হামলায় নিহতদের পরিবার সহ অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, আফগান তহবিল মার্কিন সরকারের দ্বারা নির্বিচারে ব্যবহার করা উচিত নয়। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র আসিম ইফতিখার সতর্কতার সাথে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য ৩৫০ কোটি ডলার এবং ৯/১১-এর নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য ৩৫০ কোটি ডলার দেয়ার জন্য মার্কিন ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা আফগান তহবিল খারিজ করার মার্কিন সিদ্ধান্তের দিকে পাকিস্তান দৃষ্টি রেখেছে।’
অফিসিয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত কয়েক মাস ধরে, পাকিস্তান অবিচ্ছিন্নভাবে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় এবং আফগান অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে আসছে, কারণ দুটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগান বৈদেশিক রিজার্ভকে জরুরীভাবে মুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করা আফগান জনগণের মানবিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।’
এতে বলা হয়েছে যে, হিমায়িত আফগান বিদেশী ব্যাংকের রিজার্ভের বিষয়ে পাকিস্তানের নীতিগত অবস্থান রয়ে গেছে যে, ‘এগুলি আফগান জাতির মালিকানাধীন এবং এগুলো ছেড়ে দেয়া উচিত।’ ‘আফগান তহবিলের ব্যবহার আফগানিস্তানের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত,’ মুখপাত্র বলেছেন।
তালেবানও মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছিল। দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের জনগণের অর্থ চুরি করা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থগিত করেছে, প্রমাণ করেছে যে, একটি দেশ নৈতিক ও মানবিকভাবে নতজানু হতে পারে। পরাজয় এবং বিজয় মানব ইতিহাসের অংশ কিন্তু একটি দেশ বা তার জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় এবং কলঙ্কজনক পরাজয় হল যখন তারা সামরিক এবং নৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আলাদাভাবে, জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম উল্লেখ করেছেন, ‘আফগান অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং টিকিয়ে রাখতে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তারল্য ইনজেক্ট করতে এবং কঠোর শীতের মাঝখানে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচাতে এই অর্থের প্রয়োজন।’ আকরাম যোগ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় কিছু ভুল আছে যেখানে একটি দেশ তার নিজের নাগরিকদের দ্বারা সন্দেহজনক দাবি পরিশোধ করতে একতরফাভাবে অন্য রাষ্ট্রের জাতীয় সম্পদকে ব্লক করতে পারে।’ সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।