মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রেস প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রথম মহিলা ক্রেন চালক হিসাবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সউদী আরবের নাগরিক মেরিহান আল-বাজ। ১৩ বছর বয়স থেকেই গাড়ি এবং যানবাহনের জগতে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। মোটর এবং ইঞ্জিনের প্রতি এই আবেগ তার পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত।
বর্তমানে ৩০ বছর বয়সী মেরিহান রিকভারি মার্শাল হিসেবে দিরিয়া ই-প্রিক্স ২০২২ রেস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এই প্রথম এ ধরণের কোন প্রতিযোগিতায় ক্রেন চালক হিসাবে কোন নারী অংশগ্রহণ করছেন। সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মেকানিক্স ভালবাসেন। তার পুরানো গাড়ি আছে যেগুলো সে মেরামত করে আবার চালু করার চেষ্টা করে, এবং আমি তার পাশে বসে থেকে তা দেখি এবং সে কিভাবে করেন তা শিখি।’
মেরিহান বলেন, ‘কেউ কখনও ভাবেনি যে একজন মহিলা এই ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে। কারণ মেকানিক্সের জগতটি একটি পুরুষ আধিপত্যের পেশা। সৌভাগ্যবশত, আমার পরিবারে আমার মা-বাবা সবসময় যেকোন প্রতিভাকে সমর্থন করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের জুন মাসে মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে, সউদী আরবের মহিলাদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষক হওয়া থেকে রেসিং ড্রাইভার এবং মেকানিক্স পর্যন্ত মোটর গাড়ি সংক্রান্ত অনেক সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়। এটি আমাকে একজন মেকানিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছে।’
মেরিহান আল-বাজ একজন স্ব-শিক্ষিত মেকানিক, তার শিক্ষাগত পটভূমি তার কর্মজীবনের পথ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ধরনের গুণগত সময়ের সাথে বেড়ে ওঠা তাকে অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করেছে এবং গাড়ির মেকানিক্স সম্পর্কে তার জ্ঞানকে প্রসারিত করেছে। যেখানেই গাড়ির প্রদর্শনী বা রেস ছিল, আল-বাজ উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে শিক্ষাগত পটভূমি তার কর্মজীবনের পথ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি লেবাননে মনোবিজ্ঞান এবং মিডিয়া অধ্যয়ন করেন।
আল-বাজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জেদ্দার একটি ইনস্টিটিউটে নাম নিবন্ধন করেছেন। তার অটোডিড্যাক্টিক খ্যাতি তাকে একজন প্রশিক্ষক হিসাবেও একটি অবস্থান অর্জন করতে সহায়তা করেছে। তিনি আশা করেন যে, অদূর ভবিষ্যতে তিনি তার নিজস্ব অটো মোবাইল মেরামতের দোকান খুলতে সক্ষম হবেন।
ই-প্রিক্স মূলত গাড়ি রেসের প্রতিযোগিতা। সেখানে চার ধরনের মার্শাল নিয়োগ করা হয়। যেমন ফায়ার, রিকভারি, ফ্লাগ এবং ট্র্যাকসাইড। ক্রেন চালনায় আল-বাজের দক্ষতা দেখে কর্তৃপক্ষ তাকে রিকভারি বা পুনরুদ্ধার মার্শাল দলে নিয়োগ করেছে। এই দলের কাজ হচ্ছে, ট্র্যাকে দুর্ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে সার্কিটটি পরিষ্কার কো, যাতে রেসে বিঘ্ন না ঘটে।
‘একজন পুনরুদ্ধার মার্শাল হওয়া মহিলাদের জন্য একটি কঠিন কাজ বলে মনে করা হয় - আমি একজন ক্রেন ড্রাইভার। সার্কিটে দুর্ঘটনা ঘটলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি তুলে নেওয়ার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়,’ আল-বাজ যোগ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তার ভূমিকাটি সময়-সংবেদনশীল। কারণ, এটি একটি চলমান রেসের প্রবাহকে সরাসরি প্রভাবিত করবে। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।