মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিজাব বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় গোটা ভারত। চারপাশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাতাবরণ। তার মাঝেই অন্যরকম ছবি উঠে এল অধিৃকত কাশ্মীর উপত্যকা থেকে। বছরের পর বছর ধরে শ্রীনগরের এক শিব মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে এক মুসলিম পরিবার। বাবা-ছেলে মিলেই দেখভাল করছেন মন্দিরটির। গোপী তীর্থ মন্দিরে এই সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের ছবিই এই মুহূর্তে শান্তির বার্তাবাহী।
শ্রীনগরের জবরওয়ান এলাকার গোপী তীর্থ মন্দির। গত ৬ বছর ধরে মন্দিরটি চলছে আহমেদ আলি ও নিসার আহমেদের তত্ত্বাবধানে। বৃদ্ধ বাবা আর ছেলে। দু’জন যত্ন করে হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার এই মন্দিরটি রক্ষা করে চলেছে। আর তাদের দেখে আরও বহু স্থানীয় বাসিন্দাই এগিয়ে এসেছেন মন্দিরের কাজে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, শিব মন্দিরটি গড়ে উঠেছে কাশ্মীরের সৌভ্রাতৃত্বের চিহ্ন হিসেবে। তাই তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ সকলের।
রোজ সকাল সকাল বৃদ্ধ আহমেদ আলি ছেলে নিসারকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান গোপী তীর্থ মন্দিরে। মন্দির চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুজার জন্য প্রস্তুত করে দেন। জবরওয়ানের বাসিন্দা ফিরদৌস বলেন, “বৃদ্ধ আহমেদ আলি ও তার ছেলে বহুদিন ধরে এই মন্দিরের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এটা আসলে কাশ্মীরবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের প্রতীক আর তার দেখভাল করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।” আরেক বাসিন্দা উমরের কথায়, “কাশ্মীরে এমন অনেক হিন্দু মন্দিরই আছে, যার দেখভাল করেন মুসলিম বাসিন্দারা। এটাই উপত্যকার আসল ছবি।”
কখনও যদি আহমেদ আলি ও নিসার মন্দিরটির দেখভাল করতে না পারেন, তাহলে এলাকার অন্যরা মন্দিরের দায়িত্ব নেন। এভাবেই গোপী তীর্থ মন্দিরের পুজোআচ্চা চলছে নিয়মিত। বজায় রয়েছে শান্তিও। এই ছবি হয়ত নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেখানে আহমেদ পিতা-পুত্রের কাহিনি সম্প্রীতির প্রকৃত ছবি হয়েই উঠে আসে। দেখায় আশার আলো। সূত্র: এএনআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।