Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে চীন, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম

চীন-ভারত সীমান্ত সমস্যায় ফের একবার নয়াদিল্লির পাশে থাকার বার্তা দিল ওয়াশিংটন। তাদের বক্তব্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় (Indo-Pacific Region) এবং দুই দেশের মধ্যেকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের আচরণ ভারতকে বারবার নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার মুখে ফেলছে। ফলে ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে।

আমেরিকার নিজস্ব ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল রিপোর্টের উল্লেখ করে ওয়াশিংটনের তরফে এমনটা দাবি করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত 'কোয়াড মিনিস্ট্রেয়াল' -এর বৈঠকে শুক্রবার আমেরিকা তাদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চীনের দাদাগিরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "ভারত কিছু নির্দিষ্ট প্রতিকূলতার মুখে পড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের আচরণ ভারতের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। আমাদের অবস্থান থেকে বলব, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। যে দেশের নিজস্ব প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক পরিসরে মানিয়ে চলতে পারে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেই এগোতে চাই আমরা।"

মার্কিন প্রশাসন মনে করছে, চীন তার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকে একত্রিত করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। যাতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রকে চাপে রেখে একছত্র অধিকার কায়েম করতে পারে। এবং এই পথেই গোটা বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে চীন। প্রসঙ্গত, বাইডেনের আমলে এই প্রথম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপর কৌশল রিপোর্ট প্রকাশ করা হল।

'কোয়াড মিনিস্ট্রেয়াল'-এর বৈঠকে এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে আমেরিকা। তাতে বলা হয়েছে, "দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা কায়েম রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাগাতার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে যাবে। স্বাস্থ্য, মহাকাশ বিজ্ঞান, সাইবার স্পেসের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। যা আমাদের অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। এই সুসম্পর্ক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মুক্ত এবং খোলামেলা পরিবেশ তৈরির সহায়ক হবে।" সূত্র: টিওআই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ