মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত টিকাকেই সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলা হচ্ছে। করোনায় মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে সব দেশেই তাই টিকার প্রতি দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। টিকাপ্রাপ্তি সব দেশের সমান না হলেও অধিকাংশ দেশই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নীতি অনুসরণ করছে। আর এই কঠোর নীতির কারণে দেশে দেশে বিক্ষোভও বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। গত সপ্তাহেও ডেনমার্ক, সুইডেন, ইতালিসহ একাধিক দেশের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাধ্যতামূলক টিকানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশাল মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেছেন তারা।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে ক্যানবেরা পুলিশ জানিয়েছে শনিবারের বিক্ষোভে নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ‘নিজের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য লড়াই করো’, ‘অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীনতাকে মুক্ত করো’, ‘বাধ্যতামূলক টিকাদান নীতি বাতিল করো’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে মিছিল-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
তবে মিছিল ও সমাবেশে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ক্যানবেরা পুলিশের এক মুখপাত্র এ সম্পর্কে বলেন, ‘কারো মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যায়নি। সবাই শান্তভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন।’
এমনকি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও। পার্লামেন্ট ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যারা প্রতিবাদ করছেন, নিশ্চয়ই এর পেছনে তাদের যুক্তি রয়েছে। আমি শুধু বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই- অস্ট্রেলিয়া একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ এবং অবশ্যই তাদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে; কিন্তু সেই প্রতিবাদ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, যে সমস্যার কারণে বিক্ষোভকারীরা মিছিল-সমাবেশ করছেন- সেটির সমাধান সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নেই।
‘কেন্দ্রীয় সরকার কেবল স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যদের জন্য টিকা গ্রহণের ব্যাপারটি ঐচ্ছিক। সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নিতে হবে- এই নীতি নিয়েছে প্রাদেশিক সরকারগুলো। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি কিছু করার নেই। তবে আমরা প্রাদেশিক সরকারের কাছে সুপারিশ করব- তারা যেন নিজেদের টিকানীতি পুনর্বিন্যাস করে।’
২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে যেসব দেশ সফলভাবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করতে পেরেছে, সেসবের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। দেশটিতে ১৬ ও তার অধিক বয়সীদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। সূত্র: এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।