নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিলেটকে হারিয়ে বিপিএলে প্লে-অফে চট্টগ্রাম। শনিবার মিরপুরে বিপিএলের ২৯তম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ৪ উইকেটে হারায় তারা। চট্টগ্রামের জয়ে বিপিএলে টিকে থাকা আরও কঠিন হল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার। প্লে-অফে খেলতে হলে মাহমুদউল্লাহদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য খুলনা টাইগার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচের দিকে। সেইসঙ্গে মুশফিকের খুলনার পরাজয় কামনা করতে হবে। সিলেটের দেয়া ১৮৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে চট্টগ্রাম।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জাকির হাসানকে ১৯ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। তার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন। ৭ বলে ৭ রান করে সোহাগ গাজীর বলে বিদায় নেন তিনি। দলীয় ৩৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন উইল জ্যাকস।
এরপর ২৩ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করে ওয়ালটন বিদায় নেন। ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন উইল জ্যাকস। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ৫৯ রানের। ঠিক সেই মুহুর্তে জ্যাকস মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন। উইকেটের অন্যপ্রান্তে থাকা শামিম ৭ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২১ রানে ফেরেন। জয় থেকে চট্টগ্রাম তখন ১৫ রান দূরে। মেহেদি মিরাজের (২) বিদায়ে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ৪ রানের।
আলাউদ্দিন বাবুকে প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা মেরে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন উইল জ্যাকস। তিনি ৫৭ বলে ৯১* রানে অপরাজিত থাকেন এই ইংলিশ তারকা। তার ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা রয়েছে।
এর আগে মিরপুর শেরে-ই-বাংলায় দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে সিলেট। দলকে ভালো শুরু এনে দেন কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়। ১৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ইনগ্রাম। এরপর মৃত্যুঞ্জয়েবর বলে মিজানুর রহমান ‘ডাক’মারলে শংকায় পড়ে সিলেট।
তবে ভরসা জোগায় এনামুল আর সিমন্সের ব্যাট। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে ৫০ রান। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৩৮ বলে ৫৪ রানের দারুণ জুটি। ১২ ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলে সিলেটের স্কোর। ২৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪৩ করা সিমন্সকে ফেরান মৃত্যুঞ্জয়। এনামুলও এই পেসারের তৃতীয় শিকার হন। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হওয়ার আগে বিজয় ২৬ বলে ৩২ রান তোলেন।
শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সিলেট অধিনায়ক রবি বোপারা এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৪১ বলে ৮০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়ে সিলেট। শরীফুলের শিকার হওয়ার আগে বোপারা ২১ বলে ২ চার এবং ৪ ছক্কায় করেন ৪৪ রান। আর মোসাদ্দেক ২২ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১টি করে নেন শরীফুল আর মিরাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।