মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের মানবিক সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিবেদন করার সময় তালেবানরা কাবুলে একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক, অপর একজন বিদেশী এবং তাদের কয়েকজন আফগান সহকর্মীসহ মোট ৯জনকে আটক করেছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তাদের অপহরণ করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। আটক হওয়া বিবিসি-র ওই সাবেক সাংবাদিকের নাম, অ্যান্ড্রু নর্থ। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায়। এর আগে বাগদাদ এবং বেরুট থেকে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। পাশাপাশি, জাতিসংঘের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। সেই সময় স্বাধীনভাবে কাজ করতেন অ্যান্ড্রু।
সাংবাদিক-সহ ন’জনকে আটকের এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, তালেবানের শাসন ফিরে আসায় আফগানিস্তানে এখন আর ‘সংবাদমাধ্যমের কোনও জায়গা নেই। নাগরিকরাও কোনও কথা বলার সাহস পান না। ফলে সেখানে দুর্নীতি, অপরাধ এবং নৃশংসতা ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কিন্তু, সেইসব ঘটনা বাকি বিশ্বের নজরে আনা হচ্ছে না।’
আফগানিস্তানের আমজনতা এক দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন সালেহ। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘পশ্চিমী দেশের নয় নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিবিসি-র অ্যান্ড্রু নর্থ এবং গ্যান্ডোমার্ক রেস্তোরাঁর মালিক পিটার জুভেনাল অন্যতম। এর থেকে প্রমাণিত, তালেবান দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার সবই মিথ্যা। ওরা এখনও মিথ্যা কথাই বলছে।’
সালেহর দেয়া তথ্য যে ভিত্তিহীন নয়, তা স্বীকার করেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষও। তাদের নিজস্ব সূত্রের দাবি, সত্যিই অ্যান্ড্রুকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তালেবান এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। এমনকী, তারা এ নিয়ে একটি বাক্যও এখনও পর্যন্ত খরচ করেনি। অন্যদিকে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে দু’জন সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে। ওই দু’জন সাংবাদিক তাদের সঙ্গেই কাজ করতেন বলেও মেনে নিয়েছে তারা।
তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের কাজেই দুই সাংবাদিককে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। কাবুলে কাজ করার সময় তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের উদ্ধার করতে আমরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর বেশি এখন আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’ প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অ্যান্ড্রু তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে জানিয়েছিলেন, তিনি একাধিক তালেবান নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার দাবি ছিল, ‘একসময় তালেবান কট্টর ছিল, তবে এখন আর তারা আগের মতো ভয়ঙ্কর নেই।’
অ্যান্ড্রু সাথে আটক অন্য বিদেশী নাগরিক এবং আফগানদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুক্রবার শেষের দিকে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন যে, জাতিসংঘের সাথে কাজ করার সময় ওই ব্যক্তিদের মূলত আটক করা হয়েছিল কারণ ‘তাদের কাছে কোনো আইডি কার্ড, অনুমতিপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না।’ তিনি দাবি করেছেন যে, তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। যদিও কোনও সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যার মধ্যে দলটি মুক্ত হয়ে থাকতে পারে। তাদের পরিচয় যাচাই করতে কেন এত দিন লেগেছিল তা মুখপাত্র ব্যাখ্যা করেননি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা আগেই নিশ্চিত করেছিল যে, তাদের জন্য কাজ করা দুই বিদেশী ফ্রিল্যান্সারকে সরকার আটক করেছে। ‘ইউএনএইচসিআর-এর দায়িত্বে থাকা দুই সাংবাদিক এবং তাদের সাথে কাজ করা আফগান নাগরিকদের কাবুলে আটক করা হয়েছে,’ কতজন আফগান কর্মীকে আটক করা হয়েছে তা স্পষ্ট না করেই সংস্থাটি টুইটারে বলেছে, ‘আমরা অন্যদের সাথে সমন্বয় করে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এমএসএস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।