বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আট বছর আগে ভালোবেসে রাজু আহমেদকে বিয়ে করেন সাথী আক্তার (২৪)। তাদের সংসারে চার বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর রাজু-সাথীর সংসারে আঘাত হানে যৌতুক। সে যৌতুকে বলি হয়ে এখন বাকরুদ্ধ হয়ে জীবন পার করছে সাথী আক্তার।
পুলিশ, স্থানীয় ও গৃহবধূর পরিবার সূত্র জানায়, যৌতুকের জন্য সাথীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন স্বামী রাজু আহমেদসহ তার পরিবারের লোকজন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাথীর পরিবার দুই লাখ টাকা রাজুর হাতে তুলে দেন। রাজুর লোভ আরো বাড়তে থাকে। এবার পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন সাথীর পরিবারে কাছে। টাকা দিতে না পারলে নির্যাতন বাড়তে থাকে সাথীর।
তারা জানান, সাথীর দেহের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকাসহ মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তার স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে সিগারেটের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ৩০ নভেম্বর এ নিয়ে একটি পারিবারিক বৈঠক হলে রাজু তার পরিবার এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে সাথীর পরিবারকে আশ্বাস দেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি, মারাত্মক আহত অবস্থায় সাথীকে তার মা-বাবা উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সম্প্রতি বাড়ি আনা হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে সাথী এখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাথীর বাবা বারেক শেখ গণমাধ্যমকে জানান, আমি একটি তেলের পাম্পে সামান্য বেতনের কর্মচারী। ফলে মেয়ের জামাইয়ের যৌতুকের আবদার মেটাতে পারেনি।
যার কারণে আমার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতনের বিচারে সাথীর মা নুরজাহান বেগম মামলা করেন। মামলার পর থেকে সাথীর স্বামী রাজু আহমেদসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, নির্যাতনের মামলার বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।