পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ছোট ব্যবসায় ভ্যাটের হার কমানোর প্রস্তাব জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ভ্যাট ও ট্যাক্স জমা দেওয়া ও রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার দাবিও জানিয়েছেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সেবাখাত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউজসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরা এসব দাবি জানান। এনবিআর ভবনে এ প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবি শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশের রাজস্ব কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সহজে যাতে রিটার্ন দেয়া যায় সে ব্যবস্থা আমরা শুরু করেছি। এজন্য অনলাইনের মাধ্যমে গত অর্থবছর থেকে রিটার্ন নেওয়া শুরু করেছি। এ পর্যন্ত অনলাইনে ৬৭ হাজার মানুষ রিটার্ন জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই ভ্যাট ও কর কমানো হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য কর নেট বাড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি কর নেট যত বাড়বে কর রেটও ততই কমবে। যেকোনো খাতের জন্য সুবিধা দিলে তার অপব্যবহার হয়। এজন্য যে খাতকে সুবিধা দিতে চাই তারাই যেন পায়, সেটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এসময় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কর্মজীবী, শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জন্য নিম্ন ও মাঝারি মানের রেস্তোরাঁ (বাংলা খাবার) ও স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রে ভ্যাট সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ এবং ট্যাক্সের হার সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন। এক্ষেত্রে এসি এবং ননএসির তৎকালীন পার্থক্যটা তুলে দিয়ে এসি-ননএসি রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের শতকরা হার সমভাবে প্রয়োগ করার প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি বলেন, চার ও পাঁচ তারকা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে বিত্তবান ব্যক্তিরা সার্ভিস নিয়ে থাকেন এবং তাদের রেয়াত নেওয়ার সুযোগ আছে। তাই এসব হোটেল-রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার হবে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ এবং যে রেস্টুরেন্টে অধিক মূল্যের ও বিদেশি খাবার বিক্রি হয় এবং সেখানে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ আয়ের চাকরিজীবী মানুষজন সার্ভিস নিয়ে থাকেন। তাই এসব রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি। এছাড়া শিল্প কারখানা ও করপোরেট ক্যাটারিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ ট্যাক্স সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়, করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাপড় ডেলিভারি নিচ্ছেন না গ্রাহকরা। এমনকি ৪০-৫০ শতাংশ মজুরি মওকুফ করার পরও গ্রাহকরা পোশাক নিচ্ছেন না। এমন অবস্থায় বিগত বাজেটে ধার্য করা ১০ শতাংশ মূসক দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য এ খাতে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মূসক ধার্য করার প্রস্তাব করে সংগঠনটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।