রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পদ্মা-যমুনা নদীতে নব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে অদূরে পদ্মায় আটকে আছে উত্তরাঞ্চলগামী ১৫টির বেশি জরুরি পণ্যবোঝাই কার্গো জাহাজ।
সরেজমিনে সংশ্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলে পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া নগরবাড়ি-বাঘাবাড়ি। এ রুট দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পন্যবাহী শত শত কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি অস্বাভাকিভাবে কমে গিয়ে নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি চ্যানেলে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাজকে গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭দিন পর্যন্ত সময় লাগছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনা নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামাল ডিএপি সার, পিএসপি সার, গম, কয়লা বোঝাই কোস্টার জাহাজগুলো গত কয়েক দিন ধরে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭ নাম্বার ফেরিঘাটের ১ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে আটকে আছে।
আটকে থাকা কার্গো জাহাজগুলো হতে ট্রলার ও বলগেটের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য নামিয়ে গন্তব্যস্থানে নেয়া হচ্ছে। এভাবে কয়েকদিন পণ্য খালাস করার পর কার্গো জাহাজটি ঘাট থেকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পণ্যসামগ্রী ও যথাসময়ে গন্তব্যে স্থানে পৌছাতে বিলম্ব হচ্ছে। দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে ২০টির অধিক কোস্টার জাহাজ। অনেক শ্রমিক ঐ জাহাজগুলো থেকে মালামাল নামানো কাজ করছে।
দীপশুভ জাহাজের মাস্টার মজিবুর রহমান বলেন, চিটাগাং থেকে জাহাজ নিয়ে আসার পথে নদী মাঝে ডুবোচরে আটকে যায় জাহাজ। অনেক সময় ঘুরে আসার কারনে জ্বালানি খরচ বেশি লাগছে। তারপর ঘাটে আসার পর নদীর কিনারায় চাপাতে পারছি না জাহাজটি নদীর মাঝে রেখে ট্রলার দিয়ে মালামাল অনলোড করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নাদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বেশি ভাগ জাহাজগুলো দাশকান্দি ঘাটে চলে যাচ্ছে।
চুন্নখান প্লাস জাহাজের মাস্টার বলেন, চট্টগ্রাম থেকে পিএসপি সার নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। নদী পরিপূর্ণ থাকলে ঘাটে আসতে সময় লাগতে মাত্র দুই থেকে তিনদিন। নদীতে ডুবো চরের কারণে এখন সময় লাগছে চার থেকে পাঁচ দিন। নদীতে চলতে ভয় করে কারণ নদীর মাঝে মাঝে রয়েছে বড় বড় ডুবোচর জাহাজ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় ডুবো চরে জাহাজ আটকে যায় সেখানেই দুই একদিন কেটে যায়। আগের চেয়ে অনেকটাই জালিনি খরচ বেশি লাগছে। দৌলতদিয়া ঘাটে আসার পর জাহাজটি নদীর কিনারায় নোঙর করতে পারছি না নদীর মাঝে থেকে ট্রলার দিয়ে আনলোড করতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিটিএ আরিচাঅঞ্চল মানিকগঞ্জ ড্রেজিং বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আলী বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে কোন নাব্য সঙ্কট নেই। নদীতে পানি আছে ১২ ফিটের ওপরে। এসব পন্যবাহী জাহাজ চলাচলে জন্য প্রায়োজন ১২ থেকে ১৭ ফুট পানির গভীরতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।