Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্ত্যক্তকারী কিশোরদের মাত্র ১০ শতাংশ ওই কলেজের শিক্ষার্থী, বাকিরা বহিরাগত : মুসকান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৪ পিএম

হেনস্তার শিকার সাহসী মুসলিম ছাত্রী মুসকানকে উসকানি দাতা হিসেবে মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী বি সি নগেশ। এবিষয়ের জবাবে মুসকান বলেন, গেরুয়া উত্তরীয় পরে উত্ত্যক্তকারী কিশোরদের মাত্র ১০ শতাংশ ছিল তার ওই কলেজের শিক্ষার্থী এবং বাকি সবাই ছিল বহিরাগত। তারাই প্রথম উসকানি দেন। -এনডিটিভি

মঙ্গলবার সকালে হিজাব ও বোরকা পরার কারণে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি কলেজের সামনে গেরুয়া উত্তরীয় পরা একদল কিশোরের হেনস্তার সময় ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে তিনি তা মোকাবিলা করেন। গেরুয়া উত্তরীয় পরা একদল কিশোর চিৎকার করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে মুসকানের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে কলেজের প্রিন্সিপাল, শিক্ষক ও কর্মচারীরা সেখান থেকে মুসকানকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হতে দেখা যায়। এ ঘটনাকে মুসকানের বিরুদ্ধেই উসকানির অভিযোগ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বি সি নগেশ।

বি সি নগেশ বলেন, ‘মেয়েটিকে তো তারা (সমবেত কিশোর দল) ঘেরাও করতে চায়নি। কিন্তু যখন সে (মুসকান) আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার শুরু করছিল, তখন তার পাশে একজন শিক্ষার্থীও ছিল না। কলেজ প্রাঙ্গণে কেন সে (মুসকান) আল্লাহু আকবর বলে উসকানি দিল। কলেজ প্রাঙ্গণে ‘আল্লাহু আকবর’ বা ‘জয় শ্রীরাম’কে উৎসাহিত করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে নিতে পারে না। কোনো দুর্বৃত্তকে ছাড় দেবে না সরকার।’

এ অভিযোগের জবাবে মুসকান বলেন, আমি যখন কলেজে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলাম, তখনই তারা (সমবেত কিশোর দল) আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। কারণ, আমি বোরকা পরেছিলাম। তারা জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার শুরু করে। আমিও আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করি। প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকেরা আমাকে সাহায্য ও রক্ষা করেছে। মুসকান বলেন, গেরুয়া উত্তরীয় পরে উত্ত্যক্তকারী কিশোরদের মাত্র ১০ শতাংশ ছিল তার ওই কলেজের শিক্ষার্থী এবং বাকি সবাই ছিল বহিরাগত। হিজাব নিয়ে বিতর্কের সময় রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। তবে, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার জানিয়েছে, রাজ্যটিতে হিজাব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের কোনো ভাবনা নেই রাজ্য সরকারের। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ