Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনিয়োগ টানতে নীতি শিথিল ফিলিপাইনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে ফিলিপাইনে নানা ধরনের আইনি জটিলতা ছিল। নির্ধারিত পরিমাণের বেশি বিনিয়োগ করা সম্ভব ছিল না বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পক্ষে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে থাকতে হছে দেশটিকে। তবে সে অবস্থার উত্তরণ হতে চলেছে। স¤প্রতি ফিলিপাইনে দুটি নতুন আইন হতে যাচ্ছে। আইনগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগপ্রবাহের নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। তাই এ আইন দুটিকে গেম চেঞ্জার হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর গালফ নিউজ। নতুন এ দুটি আইনেরই লক্ষ্য এক। আর সেটি হলো ফিলিপাইনের মানুষকে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত করা। প্রতিবেশী অনেক দেশই বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে বিপুল উপার্জন করছে। তবে এতদিন ফিলিপাইন বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। এখন বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে ভাবছেন দেশটির নীতিনির্ধারকরা। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কীভাবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়া যায়, সে বিষয়ে চলেছে ভাবনাচিন্তা। আর তারই ফসল নতুন দুটি আইন। কীভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার জবাব মিলেছে। শতভাগ বিদেশী মালিকানার ব্যবসাকে অনুমতি দেয়া হবে কিছু উল্লেখযোগ্য খাতে। আর এর মাধ্যমে বন্ধ হচ্ছে আট দশকেরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকা সুরক্ষাবাদী আইনের প্রয়োগ। খুচরা বাণিজ্যে শতভাগ বিদেশী মালিকানার সুযোগ দিয়ে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় আইনটি ফিলিপাইনের কংগ্রেসের দুটি চেম্বারেই অনুমোদন পেয়েছে। এখন কেবল প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি পাস হলে এয়ারলাইনস থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ সব খাতেই শতভাগ বিদেশী মালিকানার প্রতিষ্ঠান ফিলিপাইনে ব্যবসার সুযোগ পাবে। ১৯৮৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী ফিলিপাইনের মূল খাতগুলোর শিল্প প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশী মালিকানা নির্ধারিত ছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এ নিয়মে পরিবর্তন হচ্ছে। সংবিধানসহ বিভিন্ন আইনি কারণে প্রতিবেশী বা আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর তুলনায় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই আকৃষ্ট করতে সবসময়ই পিছিয়ে ছিল ফিলিপাইন। প্রথম যে আইনটি হয়েছে সেটির নাম দ্য রিটেইল ট্রেড লিবারালাইজেশন অ্যাক্ট অব ২০০০। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অনুমোদনের পর চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। দ্বিতীয়টি হলো দ্য ফিলিপাইন পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট। যেখানে ফিলিপাইনের টেলিকম, এয়ারলাইনস ও রেলওয়ে খাতে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগের বা বিদেশী মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হবে। এখন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর পেলেই এটি কার্যকরের কাজ শুরু হয়ে যাবে। রিটেইল ট্রেড লিবারালাইজেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, কিছু তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরো বড় বিদেশী বিনিয়োগের বা অংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে দেশের খুচরা শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা অনেক বাড়বে। এখন প্রশ্ন হলো ফিলিপাইন সার্ভিস অ্যাক্টের মাধ্যমে মূল কী পরিবর্তন এল? সংক্ষেপে বলতে গেলে, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু খাতে শতভাগ বিদেশী মালিকানার প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারবে। আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এফডিআই নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। যেহেতু এতদিন ফিলিপাইন এ বিষয়ে আগ্রহী ছিল না, দেশটির অবকাঠামোও তুলনামূলক দুর্বল। গালফ নিউজ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ