নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাটে অথবা বলে, কিংবা দুটোতেই, এমনকি অধিনায়কত্বেও তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। দলের বিপদে একাই টেনে তোলার ক্ষমতা যার তিনি সাকিব আল হাসান। লোগো উন্মোজনের দিনই বেশ ঘটা করেই এই বিশ^সেরা অলরাউন্ডারকে নিজেদের অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ফরচুন বারিশাল। সেদিন ‘ট্রফি নিয়েই বরিশাল যাবো’ বলে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেপথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন সাকিব, তাঁক বলিষ্ঠ কাঁধে চড়ে বরিশালও।
আক্ষরিক অর্থেই এখন ফরচুন বরিশালকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব। সেটা যেমন ব্যাটিংয়ে, তেমনি বোলিংয়েও। শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো ছিল না। বোলিং মোটামুটি ঠিকই ছিল, কিন্তু ভোগাচ্ছিল ব্যাটিং। সে সময় বাজে অবস্থায় ছিল বরিশালও। প্রথম চার ম্যাচের ¯্রফে একটিতে জয় ছিল দলটির। পরের পাঁচ ম্যাচ টানা জিতে শীর্ষে উঠে এসেছে বরিশাল। এর শেষ চারটিতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব।
বিপিএলের এবারের আসরে সাকিব করছেন, তা যেন কল্পনার সীমানাকেও ছাড়িয়ে গেছে মুনিম শাহরিয়ারের। কোনো মানুষের পক্ষে এমন করা সম্ভব! ধারাবাহিকভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যাটে-বলে এভাবে নিজেকে মেলে ধরা, টানা চার ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা। এই বিপিএল আর সাকিবের সামগ্রিক ক্যারিয়ার মিলিয়ে তরুণ সতীর্থ মুনিমের কাছে তিনি যেন এক ‘অতিমানব’।
যার শুরুটা চট্টগ্রামে। প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ¯্রফে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। পরের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫০ রানের সঙ্গে ভালো বোলিংয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ ইনিংসের মধ্েয সেটাই ছিল তার প্রথম ফিফটি। সিলেটে গিয়েও ধরে রাখেন ধারাবাহিকতা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৫০ রান করার পর ২০ রানে নেন ২ উইকেট। টানা তিন ম্যাচে দেড়শর নিচে পুঁজি নিয়ে জেতে বরিশাল। সোমবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ১৯ বলে ৩৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের পর রান জোয়ারের ম্যাচে কেবল ২৩ রানে নেন ২ উইকেট।
গতপরশু রাতে ১২ রানে ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন মুনিম। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা এই ওপেনারের সাকিবে মুগ্ধতা যেন এখনও কাটছে না, ‘তিনি এক কথায় সুপারম্যান। টানা চারটা ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন, যোগ্য হিসেবেই। তিনি যে ভ‚মিকা পালন করছেন, এটা অভাবনীয়। অধিনায়ক হিসেবে তিনি দারুণ, কোনো চাপ দেন না। সিম্পল রাখেন সব কিছু। আমরা অবশ্যই উনার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছি।’
আগের দিনও দলের জয়ে অবদান ছিল মুনিমের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে করেছিলেন ২৫ বলে ৪৫ রান। সিলেটকে হারিয়ে ম্যাচ শেষে মুনিম জানালেন তার সহজ চিন্তার কথা, ‘আমি পাওয়ার প্লেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করি। ওই জিনিসটাতে আমার সুবিধা হয়, পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পছন্দ করি খুব। যে কারণে আমার স্ট্রাইকরেট বেশি থাকে। চেষ্টা করি মেরে মেরে খেলতে। সিম্পল প্ল্যান, বেশি কিছু না।’
টানা দুই ম্যাচে ভালো করেছেন। এই দুই ম্যাচে মুনিমের আলোয় ¤øান ছিলেন উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলও। তবু তার মনে হচ্ছে ইনিংসগুলো আরও বড় হলে ভাল হতো। তবে মুনিম জানান, এমনিতে ফিফটি করার লক্ষ্য থাকে না তার, দলের দ্রæত রান তুলার গতিটাই ঠিক রাখা তার কাছে বেশি গুরুত্বের, ‘ফিফটি করার কোন লক্ষ্য থাকে না। দলের যেটা চাহিদা সেটাই পালন করার চেষ্টা করি। আমি এজ ইজ্যুয়াল খেলেছি। ফিফটি পরে আমিও শট খেলে আউট হয়েছি। ওটাও আমার জোনের বল ছিল। হয়তবা হয় নাই।’
২৩ পেরুনো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইতিবাচক চিন্তা থেকে বহু দূরে জাতীয় দলের কোন কোন ব্যাটসম্যানও। টি-টোয়েন্টিতে তাই পাওয়ার প্লের সুবিধা তুলতে ধুঁকে বাংলাদেশ। তার মারকাটারি ব্যাটিং দেখিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতেও। ১৪ ম্যাচে দুই ফিফটিতে করেন ৩৫৫ রান। মন্থর ঘরানার উইকেটেও স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪৩.১৪। এবার বিপিএলে ড্রাফটে তাকে কেউ দলে নেয়নি। পরে দল পান বরিশালে। একাদশে জায়গা পেতে লেগে যায় আরও সময়। সীমিত সুযোগে নিজেকে মেলে ধরে আগ্রহ তৈরি করেছেন তিনি। এবার তার চোখ আরো দূরে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।