মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কথায় আছে, প্রতিভা যদি থাকে, তাহলে প্রকাশ পাবেই, তা যেভাবেই হোক। যেকোনও সময়েই হোক সবার নজর কেড়ে নেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আট বছর বয়সি ডিলন হেলবিগ এটাই যেন ফের প্রমাণ করে দিল। এত ছোট বয়সে বই লিখে রাতারাতি দারুণ জনপ্রিয়। এমনকি, সেরা ইয়ং রাইটারের ‘হুডিনি পুরস্কার’ও জিতে নিল ছোট্ট ডিলন। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে দারুণ এক মজার ঘটনা!
একদিন দাদীর সঙ্গে স্থানীয় লাইব্রেরিতে হাজির হয় ডিলন। হাতে তার লেখা একটি লাল নোটবুক। সেই নোটবুকেই সে লিখে ফেলেছে গোটা একটা উপন্যাস। নাম দিয়েছে, ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব ডিলনস ক্রিসমাস’। ৮৮ পৃষ্ঠার এই নোটবুক নিয়েই দাদীর সঙ্গে লাইব্রেরিতে ঘোরাঘুরি করছিল ডিলন। হঠাতই মাথায় এল বুদ্ধি। দুম করে তার এই নোটবুক সে রেখে দিল লাইব্রেরির চিলড্রেন্স বিভাগে। এমনকি, পাশে থাকা দাদীও তা টের পেলেন না। প্রায় দু’ দিন বাদে দাদীকে গোটা ঘটনাটি জানাল ডিলন। দাদী শুনে তো হতবাক! নোটবুক আনতে সোজা দৌড় লাইব্রেরিতে। বইটির খোঁজ করতে গিয়েই আসল তথ্য এল সামনে। এই বই পড়ার জন্য লম্বা লাইন। লাইব্রেরির খাতায় অগ্রিম বুকিংয়ের তালিকাও বেশ লম্বা। সব মিলিয়ে রাতারাতি এ বই পড়ার হিড়িক নানা বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ব্যাপারটা যে এরকম ঘটবে, তা আগে আন্দাজও করতে পারেননি ডিলনের পরিবার। আর এখন তো ডিলন ও তার নোটবুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেস্ট সেলার!
জানা গেছে, ডিলন পরিবারের ক্রিসমাস পালন নিয়ে নানা মজার কথা লিখেছে। সঙ্গে নিজের মতো করে ছবিও এঁকেছে। গ্রাফিক নভেলের কায়দায় ডিলনের এ নোটবুক উপন্যাস দেখে আপ্লুত নামজাদা লেখকরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এ বইয়ের সমালোচনাও। তবে এ গোটা ঘটনায় ছোট্ট ডিলন কিন্তু নিরুত্তাপ। সে আছে নিজের খেয়ালেই। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।