নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের ম্যাচে শেষ ওভারে হারলেও আজ ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। বিপিএল টিকে থাকার লড়াইয়ে শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত হোম। এ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে মাহমুউল্লাহ রিয়াদের ঢাকা। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে খুলনা। ফলে বিপিএলে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ঢাকা।
বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সিকান্দার রাজার ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে মাহমুদউল্লাহ ও জহুরুলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় ঢাকা।
অবশ্য এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মুশফিকের খুলনা। ৩.২ ওভারে দলীয় ১২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়। ঢাকার বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে দলীয় ৫৮ রানে আরও ৫ উইকেট খোয়ায় তারা। দলের বিপদে একপাশ আগলে রেখে একাই হাল ধরেন জিম্বাবুয়ের রাজা।
সাত নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নামা এই ব্যাটার ইনিংসের শেষ বলে ফজলে হবের বলে বিদায় নেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৫০ বলে পাঁচ বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় ৬৪ রানের ঝড়ো দারুণ ইনিংস খেলেন সিকান্দার। দলের হয়ে আর কেউই সুবিধা করতে পারেনি। ২০ রানের ইনিংস খেলতে পারেননি কেই। মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান।
ঢাকার হয়ে আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, ফারুকী ও কায়েস আহমেদ।
জবাবে বিপিএলে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ৬ রান করে বিদায় নেন তামিম ও ইমরান উজ জামান। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন জহুরুল ইসলাম। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ শুরুর পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি জহুরুল। ব্যক্তিগত ৩০ রানে রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হন তিনি।
জহুরুলের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেন শামসুর রহমান। তার ঝড়ো ইনিংস শুরুর পর পেরেরার বলে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ রানে বিদায় নেন ঢাকার অধিনায়ক। এক ওভার পর শামসুরকেও বিদায় করেন পেরেরা। অবশ্য এরপর আর উইকেট হারায়নি তারা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শুভাগত হোম।
শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার। ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। ৯ বলে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। খুলনার হয়ে পেরেরা ৩.২ ওভারে ৩৯ রানে নেন দুই উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।