নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল স্বাধীনতা ও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন গোমেজের গোলে আবাহনী ১-০ ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধাকে হারালেও সেই ডরিয়েলটনে ভর করেই দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত আবাহনী ১-১ গোলে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র বিপক্ষে ড্র করে মান বাঁচিয়েছে। পুলিশের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিলসন রদ্রিগুয়েজ ও আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন গোমেজ একটি করে গোল করেন। অন্যদিকে একই দিন টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩-০ ব্যবধানে হারায় মুক্তিযোদ্ধাকে। জামালের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেডু ম্যাথিউ দুই ও গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্ম একটি গোল করেন।
আবাহনী-পুলিশ ম্যাচে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেনি ঢাকার আকাশী-হলুদরা। শক্তির বিচারে কাগজে কলমে বেশ পিছিয়ে থাকা পুলিশ ফুটবল ক্লাবের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের আবাহনীকে। মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকে আবাহনীর সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেন পুলিশের ফুটবলাররা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া ছিল পুলিশ। আক্রমণের ধারায় থেকে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় সার্ভিসেস দলটি। এসময় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিলসন রদ্রিগুয়েজের গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ (১-০)। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে লড়েও ম্যাচের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত গোল পায়নি আবাহনী। তবে যোগকরা সময়ে (৯০+৩ মিনিট) সেই ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটন গোল করলে হারের লজ্জা থেকে বাঁচে স্বাধীনতা ও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা (১-১)।
টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেই মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। ম্যাচের ২০ মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্মের গোলে এগিয়ে যায় জামাল (১-০)। ৩৭ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিউ চিনেডুর গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে তারা (২-০)। ৫৫ মিনিটে চিনেডু আরেকটি গোল করলে ব্যবধান আরও বড় হয় (৩-০)। বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষে ৩-০ ব্যবধানের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ধানমন্ডির দলটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।