Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটকীয় জয়ে বিপিএলে টিকে রইল চট্টগ্রাম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৩০ পিএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৩তম ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মিনিস্টার ঢাকার জয় ছিনিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মঙ্গলবার সিলেটে মৃত্যুঞ্জয়ের শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৩ রানের জিতে বিপিএলে টিকে রইল আফিফ হোসাইনের দল। এ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে সিলেট। ঢাকা এক ম্যাচ কম খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মৃত্যুঞ্জয়ের অসাধারণ বোলিং নৈপুন্যে ১৪৫ রানেই থামতে হয় ঢাকাকে।

বিপিএলে টিকে থাকার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই ১ রান করে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান। এরপর আরাফাত সানির শিকার হয়ে ২৬ রানে বিদায় নেন তিনি। চারে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজও ২ রানে বিদায় নেন। এরপর ২৭ রানে বিদায় নেন নতুন অধিনায়ক আফিফ। অবশেষে পাঁচে ব্যাট করতে নেমে জ্বলে উঠেন শামিম।

আকবর আলী ৯ রানে বিদায় নিলে শামিমকে সঙ্গ দেন বেনি হাওয়েল। শেষদিকে এসে দারুণ ব্যাট করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন শামিম। ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রান করে শেষ ওভারে বিদায় নেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল। ঢাকার হয়ে সব বোলারই একটি করে উইকেট তুলে নেন।

জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ হারায় ঢাকা। ব্যক্তিগত ৭ রানে বিদায় নেন আফগান এই ব্যাটার। ওয়ানডাউনে নেমে ইমরান উজ জামানও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। তিনি ৮ রানে তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনিও শুন্য রানে বিদায় নেন। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে সরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

দলের বিপদে একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিম ইকবালকে সঙ্গ দেন ঢাকার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন এ দুই পাণ্ডব। মাহমুদউল্লাহকে ২৪ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। এরপর ছয়ে ব্যাট করতে নেমে তামিমকে সঙ্গ দেন শুভাগত হোম। শেষ দিকে এসে শরিফুলের শিকার হয়ে ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

শেষ মহুর্তে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের যোগ্যতার জানান দিয়ে ঢাকাকে ১৪৫ রানেই আটকে দেন মৃত্যুঞ্জয়। ওপেনার তামিম ইকবাল ছয় বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৫৬ বলে ৭৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৫ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন নাঈম। চট্টগ্রামের হয়ে দুইটি করে উইকেট পান শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয়। একটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ ও মিরাজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ