Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি চসিক মেয়র

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিগত ১৫ মাস মেয়র হিসেবে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দীন বলেছেন, সবার সহযোগিতা পেলে তিনি নগরবাসীর দায়িত্ব পালনে সফল হবেন। মহানগরীকে বিলবোর্ডের জঞ্জালমুক্ত করা হয়েছে। অচিরেই পরিচ্ছন্ন মহানগরীতে পরিণত করা হবে।
গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে নগরীর জামাল খান সড়কের একটি ক্লাবে মতবিনিময়কালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র। বিগত ৫ বছরে নগরীতে যা হয়নি, ১৫ মাসে তারচেয়ে বেশি উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। মেয়র বলেন, আমার সদিচ্ছা আছে, প্রচেষ্টা আছে, দায়বদ্ধতা আছে। এই স্বদিচ্ছা, প্রচেষ্টা ও দায়বদ্ধতা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই।
মহানগরীকে ময়লা-আবর্জনামুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী করার প্রচেষ্টা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডের বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢাকনামুক্ত ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব এলাকায় ডাস্টবিন বিতরণ করা হবে। ডোর টু ডোর আর্বজনা সংগ্রহের মাধ্যমে বন্দরনগরীকে পরিচ্ছন্ন মহানগরীতে রূপান্তর করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের মূল কাজ রাজস্ব আদায়, পরিচ্ছন্নতা ও মহানগরীর উন্নয়ন। অতীতে এসবের বদলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে করে মূল তিনটি সেবা প্রদান বিঘিœত হয়েছে। তিনি এ তিনটি সেবা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানান। বর্তমানে শিক্ষাখাতে ৪২ কোটি এবং স্বাস্থ্যখাতে বছরে ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
কর্পোরেশনের আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব আদায় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। নগরীতে দেড় লাখ হোল্ডিং রয়েছে, এর মধ্যে ১৪ হাজার অ্যাসেসমেন্টের ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে। এসব আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়নি। নগরবাসীকে কর পরিশোধে উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। যারা দরিদ্র্য ও ট্যাক্স দিতে অপরাগ, এ ক্ষেত্রে তাদের ছাড় দেয়া হবে। কিন্তু যারা বিত্তশালী ট্যাক্স দেয়ার সামর্থ্য আছে, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আসতে হবে। মহানগরীর সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবে না। ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামে কর্পোরেশন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে জনবল সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে আট হাজার কর্মী আছে চসিকে। এ সংখ্যা ১২ হাজারে উন্নীত করা গেলে কাজের গতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি। অতীতের মেয়রগণ নিয়োগবিধি সংশোধন করার উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সততা, দক্ষতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে অনিয়ম, দুর্নীতির প্রবণতা ছিল। তবে কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে এ প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি চসিক মেয়র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ