মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানির ব্রাউনশোয়াইগ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রতিনিয়ত ড্রোনের নতুন ব্যবহার খুঁজে বের করছেন৷ এর মাধ্যমে গবেষণা কাজে অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ কম খরচে এমন অনেক গবেষণা করা যাচ্ছে যা আগে সম্ভব ছিল না৷ হাজার হাজার প্রাণীর জীবনও বাঁচাচ্ছে ড্রোন৷
‘এয়ারোইন্সপেক্ট’ নামের একটি ড্রোনে ১০০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা আছে৷ এটি দিয়ে ভবন স্ক্যান করা যায়৷ এই ড্রোনের ব্যাটারি মাত্র ৪০ মিনিট কার্যকর থাকে৷ পুরনো ভবনের ৩৫ মিটার উঁচুতে উঠে তার ছবি তোলার জন্য এই সময় যথেষ্ট৷ ভবনের প্রতি ৯০ সেন্টিমিটারের স্পষ্ট ছবি তোলে এটি৷ পরে ছবিগুলো দিয়ে কম্পিউটারে থ্রিডি মডেল তৈরি করা হয়৷ ক্যামেরা দিয়ে শুধু ভবনের উপরের ছবি তোলা হলেও গবেষকেরা টিনের ভেতর দিয়ে নিচ পর্যন্ত দেখতে পারেন৷
ব্রাউনশোয়াইগ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়ান বাকহাউস জানান, ‘‘এয়ারোইন্সপেক্ট ড্রোন দিয়ে সময়ের সঙ্গে কোনো ভবনে পরিবর্তন এসেছে কিনা, কোথাও ভেঙে গেছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা যায়৷ বড় ক্রেন কিংবা ট্রেন চলে এমন পথ পরীক্ষা করার সময় অনেকদিন ব্যবহারের কারণে ঐ পথে কোনো ত্রুটি দেখা দিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে হয়৷ তাদের স্থান পরিবর্তন হয়েছে কিনা সেটাও খেয়াল করতে হয়৷ যদি হয়, তাহলে যেন ঠিক সময়ে জানা যায়, সেটা জরুরি৷’’
ব্রাউনশোয়াইগ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক আস্ট্রিড লামপার্ট বলেন, ‘‘এখন সব জায়গায় ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে৷ প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে৷ সহজে সেগুলো পাওয়াও যাচ্ছে৷ দামও কম৷ এসব প্রযুক্তি দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ সম্ভব হচ্ছে৷ সমতলে আর বিমান থেকে অনেক পরিমাপ পাওয়া যায়৷ কিন্তু এর মধ্যবর্তী স্থানে একটা শূন্যস্থান আছে৷ ড্রোন দিয়ে কমদামে সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করা যায়৷ ড্রোন দিয়ে অন্য কাজও করা যায়৷ যেমন হরিণের বাচ্চা খোঁজা৷’’
ইদানিং অনেক কৃষক খড় কাটার আগে ড্রোন দিয়ে ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে তাদের জমি স্ক্যান করে নিচ্ছেন৷ কারণ এভাবে জমিতে কোথাও কোনো প্রাণীর বাচ্চা আছে কিনা, তা দেখা যায়৷ ইনফ্রারেড ক্যামেরা প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা চিহ্নিত করতে পারে৷ ফলে ড্রোন পাইলট একজন উদ্ধারকারীকে ঐ প্রাণীর সঠিক অবস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারেন৷
হারভেস্টারের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার প্রাণীর বাচ্চা প্রাণ হারায়৷ বেশি বেশি ড্রোন ব্যবহার করে এসব প্রাণী হত্যা বন্ধ করা সম্ভব৷ আরেকটি ড্রোন আছে যেটা গুলি করতে পারে৷ লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এটা দিয়ে গাছে মনিটরিং যন্ত্র বসাতে চায়৷ তাহলে প্রত্যন্ত বনে গাছের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা যাবে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।