Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফরিদপুরের হাইওয়ে রাস্তার রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে কামারখালী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার হাইওয়ে রাস্তার সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে যশোর জেলার মাইনুদ্দিন বাকি। এ প্রকল্পের ব্যয় দুই গ্রুপে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। প্রথম গ্রুপ ৩৯ কিলোমিটার থেকে ৪৯ কিলোমিটার মোট ২০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় গ্রুপে ৫০-৬১ কিলোমিটার মোট ১১ কিলোমিটার, সর্বমোট ৩১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা করতে হবে বেইজ টাইপ (ম্যাকাডম)। এর বরাদ্দ হচ্ছে প্রায় চার কোটি টাকা, কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগসাজশে ওই ম্যাকাডমের কাজ নামমাত্র কিছু অংশ করছে। যার ব্যয় হবে আনুমানিক এক কোটি টাকা।
অথ্যাৎ তিন কোটি টাকাই প্রকল্প কাজের ফাঁকি। নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ৮০ জন জনবলের মধ্যে ৪০ জনই নির্বাহী প্রকৌশলীর শ্বশুরবাড়ি মাগুরা ও নিজ জেলা রাজবাড়ী এলাকার বলে জানা গেছে। ৩১ কিলোমিটার রাস্তার ৯০ ভাগ রাস্তার উপরের অংশ তুলে ফেলে দিয়ে সিলকোড করার কথা থাকলেও কিন্তু তা না করে ওই রাস্তার উপর দিয়েই সিলকোডের কাজ করে যাচ্ছে। এতে কিছুদিনের মধ্যেই খুলনা-ফরিদপুর মহাসড়কটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রায় ৩৮ ফিট প্রশস্তের মধ্যে ৩০ ফিট সড়কের মেরামত কাজ হচ্ছে। উভয় পাশের ৪-৪ ফুট রাস্তা সংস্কার না করায় মূল সড়কের সাথে উভয় পাশের রাস্তা নিচু হওয়ায় হালকা যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছে কয়েকজন।
দরপত্রটিতে সড়কটির সংস্কারে ১ নং পাকুর পাথর ব্যবহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও ২নং পাকুর পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। বিপিসি ৬০-৭০ বিটুমিন ব্যবহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও নি¤œমানের ইরানি বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে এলজিইডিসহ অন্যান্য সংস্থা ইরানি বিটুমিন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ফরিদপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, কাজে কোনো গরমিল নেই। নি¤œমানের কোনো মাল-ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার হচ্ছে না। দেশের সেরা মাল দিয়ে প্রকল্পের কাজটি করছি। যারা অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিজন বাবু জানান, হাইওয়ে সড়কের প্রকল্পের কাজ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হচ্ছে, কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফরিদপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ