Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

‘আরচ্যারির স্টেডিয়াম জবরদখল করেছে বাফুফে’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১৫ পিএম

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম। এটি বাংলাদেশ জাতীয় আরচ্যারির দলের অন্যতম প্রধান অনুশীলন ভেন্যু। এখানে আরচ্যারির ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন হয়ে থাকে। জাতীয় দলের আরচ্যাররা সারা বছর এই স্টেডিয়ামে অনুশীলনে মগ্ন থাকেন। কিন্তু এখন এখানে আরচ্যারি নয়, হচ্ছে ফুটবল খেলা। ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি মৌসুমে এই স্টেডিয়ামটি ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তা অনেকটা জবরদখলের মতোই ব্যবহার করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কথাটি এবার সরাসরি বললেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সোমবার দুপুরে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে জাতীয় টার্গেটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাফুফে যে প্রক্রিয়ায় টঙ্গিস্থ আরচ্যারির ভেন্যু দখল করেছে সেটা ঠিক হয়নি।’ রাসেল যোগ করেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন ও আরচ্যারি ফেডারেশনের মধ্যে যে ঝামেলাটি হয়েছে তা কিন্তু হওয়ার কথা নয়। গত বছর আমরা যখন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার অনুমোদন দিয়েছিলাম, তখন বলা হয়েছিল যে, আরচ্যারি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামটি নিজেদের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাফুফেকে তা ব্যবহার করতে হবে। আরচ্যারি ফেডারেশন যদি মনে করে তাদের ভেন্যুটি বাফুফে ব্যবহার করতে পারবে, তাহলে তা করা যাবে। না হলে অন্য জায়গায় যেতে হবে ফুটবলকে। নির্দেশনায় এটাই লেখা ছিল। কিন্তু বাফুফে নির্দেশনা মানেনি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,‘নির্দেশনায় যেভাবে লেখা ছিল বাফুফে গতবারও তা করেনি। এবার আমরা দেখলাম তার চেয়েও ভয়াবহ বিষয়। শুরুতে ৭টি ভেন্যুতে ফুটবল খেলার কথা ছিল। পরে তা চারটি হলো। এরপর তিনটি এবং সবশেষে দুটি ভেন্যু চুড়ান্ত করল বাফুফে। আমার কথা হলো কেন সব খেলা ঢাকায় হবে? সারা বাংলাদেশে আমরা যে স্টেডিয়াম নির্মাণ করছি সেগুলো তাহলে কাদের জন্য করছি? কারা ব্যবহার করবে? কে খেলবে স্টেডিয়ামগুলোতে?’

আগামীতে ফুটবলকে ভেন্যু দেওয়া কঠিন হবে উল্লেখ করে রাসেল বলেন,‘আরচ্যারির সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা না করে এক প্রকার জবরদখল করেই বাফুফে টঙ্গির স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে। কাজটি সঠিক হয়নি। কারণ, যে কয়টি খেলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাল করছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম আরচ্যারি। তাদের স্টেডিয়াম দখলকে আমরা ভালোভাবে দেখিনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড হলে ফুটবলকে স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়া কঠিন হবে। অন্য কোন ফেডারেশন টঙ্গির স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে চাইলে আরচ্যারির সঙ্গে আলোচনা করে এবং আরচ্যারিকে প্রাধান্য দিয়েই তা করতে হবে।’

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামটি আরচ্যারি ছাড়া অন্য কোন খেলা আয়োজনের জন্য উপযোগি নয় বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তার কথায়,‘এই স্টেডিয়াম ফুটবলের মতো বড় ইভেন্ট করার মতো নয়। সকল দলের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মতো অবস্থা এই স্টেডিয়ামের নেই। উন্নত ড্রেসিং রুম নেই, সাংবাদিকদের বসার স্থান নেই। স্টেডিয়ামটি আরচ্যারি ব্যবহার করছে বলে এসব নিয়ে আগে আমরা ভাবিনি। ভবিষ্যতে আমরা এখানে অন্যান্য খেলার সুযোগ তৈরি করে দেবো। এখন এখানে আরচ্যারিকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে আরচ্যারিই এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে। ২০ ফেব্রুয়ারির পর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে সপ্তাহে একটি করে ফুটবল ম্যাচ হবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ