প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচনী আপিল বোর্ড। গত শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের পদ বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন। আপিল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আপিল বোর্ড এখন মৃত। তারা কোনো রায় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। তিনি বলেন, সকল নির্বাচনের সময় একটা তফসিল ঘোষণা করা হয়, সেটি কখনো পরিবর্তন করা যায় না। এই তফসিলে বলা আছে যে, ২৯ তারিখ ১০টা থেকে ১টার মধ্যে আপিল করা যাবে। এরপর একইদিন বিকাল ৫টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। আপিল বোর্ডে আগের ফলাফলই বহাল রাখা হয়। এই ঘোষণার পরপরই আপিল বোর্ড বলে ২০২২-২০২৪ মেয়াদে আর কোনো বোর্ড শিল্পী সমিতিতে থাকবে না। তারপর ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। এরপর কোনো রায় দেওয়ার সুযোগ নেই। ৫ তারিখ তো প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, পর দিন আবেদন করার সুযোগ ছিল, নিপূণ সেখানে আবেদন করেছেন এবং আপিল বোর্ড চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সেখানে আপিল বোর্ড জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এখন এই আপিল বোর্ড অবৈধ, এই বোর্ডের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পীরজাদা হারুন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে গঠনতন্ত্র এবং নির্বাচনের তফসিল দেখার জন্য। তারা সিডিউল পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের পর দিন ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর আপিল বোর্ডের হাতে আর কোনো ক্ষমতা নাই। ৩০ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতেও কোনো ক্ষমতা নাই। এখন হাইকোর্টের দরজা খোলা আছে, বিক্ষুব্ধ প্রার্থী হাইকোর্টে যেতে পারেন। কিন্তু আপিল বোর্ড বা নির্বাচন কমিশন আর কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন না। এখন যেটি হয়েছে, সেটি আইন অনুযায়ী বৈধ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।