Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সুদানে সেনা সদস্যদের সঙ্গে সশস্ত্র দলগুলোর রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ, বহু লোক হতাহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৯ পিএম

সুদানের দারফুর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের সাবেক একটি ঘাঁটিতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র দলগুলোর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অজ্ঞাত সংখ্যক লোক হতাহত হয়েছে। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
উত্তর দারফুরের এল ফ্যাশারে সাবেক আফ্রিকান ইউনিয়ন-জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউএনএএমআইডি-র সদরদপ্তরের চারপাশ থেকে শনিবার ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
২০২০ সালে কিছু সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে শন্তিচুক্তির পর ২০২১ সালের প্রথমদিকে ইউএনএএমআইডি তাদের অভিযান বন্ধ করে দেয়। এই শান্তিচুক্তির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন অংশ ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায়, তাতে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
সম্প্রতি দারফুর অঞ্চলের শহরগুলোতে লুটপাট ও হামলার ঘটনা ঘটার পর জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (ডব্লিউএফপি) ওই অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে। এরপর সুদানের সামরিক নেতারা বুধবার বলেছিলেন, ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী গোষ্ঠীগুলোকে দারফুর অঞ্চলের শহরগুলো ছাড়তে হবে।
ইউএনএএমআইডি শান্তিরক্ষীদের স্থলে দারফুর অঞ্চলে একটি যৌথ বাহিনী মোতায়েনের কথা আছে সুদানের। এরমধ্যেই ইউএনএএমআইডির সাবেক স্থাপনাগুলোতে বারবার হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী
২০০৩ সালে দারফুরে সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা মিলে বিদ্রোহীদের নির্মূল করতে নামলে সেখানে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। এসব সংঘাতে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়। তারপর থেকে আশান্ত এই অঞ্চলটির প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ