বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর অপসারন চেয়ে দুই শত এলাকাবাসী প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন এবং ইউএনও অফিসের মুল ফটক অবরুদ্ধ করনহ অফিস কার্যালর সামনে অবস্হানও করেন। রবিবার, (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ ঘটিকা থেকে প্রারা ১২:৩০ মিনিট পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভকারীদের সাথে আলাপ করলে তারা গগনমাধ্যম কে জানান, বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে, দুটি এক্সাভেটর (খনন যন্ত্র) আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। এছাড়া দুটি মাটি পরিবহনের ট্রলি গাড়িরও ক্ষতিসাধন করেন। এতে সংশ্লিষ্ট এক্মাভেটর ওট্রলি ট্রা
কের মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন কমপক্ষে ৮/১০ জন ড্রাইভার সহকারি হেলপার এবং শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েন। পাশা-পাশি গরীব গাড়ীর মালিকদের একমাত্র উপার্জনের পারিবারিক সম্পদ এভাবে নষ্ট করে দেওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন উল্লেখিতরা।
এক্মাভেটর, ট্রলি ট্রাক্টর মালিক ও স্বজনদের সম্পদ হারানোর শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
একমাত্র বেঁচে থাকার সম্বল এভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হলো, এই শোকে কাতর পাথর হয়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা। বিষয়টি জনমানবিকতায় প্রচন্ডভাবে দাগ কাটে। বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। শেষ পর্যন্ত ঘটনার প্রতিকার ও প্ররতিবাদ জানালে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও অবোরধে রুপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,এ ঘটনার জের ধরে ইউএনওর অপসারনও বিচার দাবি করে রোববার (৬ ফ্রেবুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘন্টা উপজেলা পরিষদের সামনের স্টেশন সড়ক অবরোধ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে বিক্ষোভ করে কয়েকশ মানুষ। বিক্ষোভ চলাকালে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা এ সময় উপজেলা পরিষদের মূল ফটকও অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় ঘন্টাখানেক পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও অবরোধকারীদের সরাতে ব্যর্থ হয়। অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মরত মাটি শ্রমিক, ট্রলির চালক, শ্রমিক, এক্সাভেটরের চালক, চালকের সহকারী (হেলপার) ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা ইউএনওর অপসারন ও বিচার দাবি করে মূহুমর্ূহু শ্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া ব্যাংক ঋনের টাকায় কেনা তাদের বৈধ ও মূল্যবান এক্সাভেটর মেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস করার ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্থ খননযন্ত্রের মালিক তেলজুড়ীর মো. আব্দুল আলিম গনমাধ্যম কে জানান, আমি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋন নিয়ে ও ধার দেনা করে গত বছর খননযন্ত্রটি কিনেছি। এখনও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমি প্রায় ১৩ লাখ টাকা ঋনের দেনা আছি। এ অবস্থায় আমার বৈধ খননযন্ত্রটি পুড়িয়ে ধ্বংস করায় অপূরণীয় ক্ষতি হলো। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হোসেন গনমাধ্যম কে জানান, উপজেলা পরিষদের সামনে সড়ক অবরোধ করে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী। এ সময় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পুড়িয়ে দেওয়া খননযন্ত্র ও ট্রলি গাড়ি ধ্বংসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউএনও মো. রেজাউল করিম তার কার্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের চা চক্রের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি দাবি করেন, এলাকার একটি মহল আইন না বুঝে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আমি আইনের মধ্যে থেকেই অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত জব্দকৃত খননযন্ত্র ও ট্রলি গাড়ি বিনষ্ট করেছি। এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।