মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গাড়ি দুনিয়ায় সম্ভ্রম জাগানো নাম, ‘রোলস রয়েস কালিনান’। রিলায়্যান্স প্রধান মুকেশ অম্বানীর দক্ষিণ মুম্বইয়ের অ্যান্টিলিয়ার গ্যারাজে শোভা পাচ্ছে এখন সেই মহার্ঘ গাড়ি। দাম ১৫ কোটি টাকারও বেশি!
২০১৮ সালে ‘রোলস রয়েস কালিনান’ বাজারে আসে। প্রারম্ভিক মূল্য রাখা হয়েছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। শোনা যাচ্ছে, অম্বানী যে গাড়িটি কিনেছেন তার দাম ১৫ কোটিরও বেশি। কেন এত বেশি দাম? গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবই সম্ভব। বিশেষত, গাড়ির ঠাঁই যদি হয় অ্যান্টিলিয়ার গ্যারাজে, তা হলে দাম কোনও ব্যাপারই নয়। গাড়িটি রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশের নিজের নামেই নথিভুক্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়িটির সুরক্ষা কাঠামো ঢেলে সাজা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মুকেশ ও স্ত্রী নীতার পছন্দের বিলাস বৈভবের একাধিক চোখ ধাঁধানো ব্যবস্থা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ‘রোলস রয়েস কালিনান’-এ মুকেশ ‘টাস্কান সান কালার স্পোর্টিং ভি-টুয়েল্ভ’ ইঞ্জিন বসিয়েছেন। যা ৫৬৪ ‘ব্রেক হর্স পাওয়ার (বিএইচপি)’ ক্ষমতা সম্পন্ন। বিশেষ নম্বর প্লেটের জন্য মুকেশ খরচ করেছেন প্রায় ১৪ লাখ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ মুম্বইয়ের তারদেও রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কার্যালয়ে ‘রোলস রয়েস কালিনান’-এর পেট্রল চালিত গাড়িটি নথিভুক্ত হয়েছে মুকেশের নামে। মুকেশ অম্বানী সাধারণত বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছাড়া ওঠেন না। কিন্তু নিরাপত্তায় সামান্য খামতি থাকায় তিনি উঠতে পারেন না ‘বিএমডব্লু আই-এইট’ গাড়িটিতেও। গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আই-এইট’-এর মূল সমস্যা তার দরজা নিয়ে। যদিও অম্বানীদের গ্যারাজে রয়েছে মহার্ঘ ‘আই-এইট’-ও।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিরার নাম ‘কালিনান’। হিরা এ যাবৎ পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম প্রাকৃতিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ‘রোলস রয়েজ কালিনান’ নাম দেওয়ার কারণ, সংস্থার দাবি, পৃথিবীর যে কোনও রাস্তায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে এই গাড়ি গড়াবে পানির ভিতর মাছের মতো অনায়াস দক্ষতায়। সওয়ারি টেরও পাবেন না।
সংস্থার দাবি, ‘রোলস রয়েস কালিনান’ এ যাবৎ সংস্থার তৈরি সবচেয়ে আরামদায়ক ও বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ‘এসইউভি’। এ বার তা শোভা পাচ্ছে অম্বানীদের বাড়ির গ্যারাজে। গাড়ির ভিতরে যে চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে, তা এতই উচ্চমানের যে, ঘর্ষণ অনুভূত পর্যন্ত হবে না। পানিতে কিংবা স্থলে, বরফে বা মরুভূমিতে— ‘রোলস রয়েস কালিনান’-এর ‘অফ-রোড’ অভিজ্ঞতা অনন্য। দাবি করা হয়, সওয়ারি বুঝতে পর্যন্ত পারেন না গাড়ি কী ধরনের পথ দিয়ে যাচ্ছে। এতটাই আরামদায়ক হয় এর প্রতিটি সফর।
একটা সময় পর্যন্ত মুকেশ অম্বানী একচেটিয়া ভাবে মার্সেডিজ গাড়ি চড়তেন। ‘সেডান’ আদলের সেই গাড়িতে গোটা পরিবার নিয়ে সফরে বেরিয়েছেন মুকেশ, সেই ছবি এখনও নেটমাধ্যমে রয়েছে। মুকেশ অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’-র গ্যারাজে রয়েছে সাকুল্যে ১৬৮টি গাড়ি। টেসলা থেকে শুরু করে বেন্টলে— যার প্রতিটিই মহার্ঘ। কালিনানের ঠিক আগে মুকেশ কিনেছিলেন ‘ক্যাডিলাক এসক্যালেড’। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।