Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ’র সামরিক অস্ত্রাগার ধ্বংস

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম

দীঘিনালা উপজেলার জারুলছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ৪টি সামরিক ব্যারাক, ২টি ডিউটি পোস্ট ও ১টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করে। এসময় বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৪ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় দিঘিনালা জোনের অন্তর্গত জারুলছড়ি নামক এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সন্ত্রাসীরা উক্ত এলাকায় অস্থায়ী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। সেখানে তারা নতুনভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নতুন সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। স্থানীয় জনগনের মধ্যে নতুনভাবে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করা, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে অহেতুক হয়রানি ও মারধর করা ছাড়াও নানাবিধ অসামাজিক অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।
বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পরিকল্পনায় দীঘিনালা জোন কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত ৪ টার সময় দীঘিনালা জোনের অপারেশন দল অভিযান পরিচালনা করে। সিকিউরিটি ফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা আকস্মিকভাবে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। সেনাবাহিনীর অভিযান দল তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ধাওয়া করে। ফলে সন্ত্রাসী দলটি তাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে রক্ষিত সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ রেখেই পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
এসময় তল্লাশী চালিয়ে উক্ত ক্যাম্প থেকে অভিযান দলটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত ইউনিফর্মের অংশ বিশেষ, সন্ত্রাসীদের দলীয় নামীয় তালিকা, চাঁদা আদায় সংক্রান্ত নিয়মের নির্দেশিকা ও ২ (দুই) টি এলএমজি’র ওয়াই স্টিক উদ্ধার করে। এই অভিযানের মাধ্যমে সেনা সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ৪ (চার) টি ব্যারাক ও ২ (দুই) টি ডিউটি পোষ্ট ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করে।

 



 

Show all comments
  • Masud রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৬ এএম says : 0
    সন্ত্রাসী না লিখে জঙ্গি লেখা উচিৎ ছিলো
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মনির হোসেন ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৬ এএম says : 0
    এভাবে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক আরও বেশি বেশি অভিযান পরিচালনা করা হোক খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ও পর্যটন নগরী গড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক. আই লাভ ইউ মাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
    Total Reply(0) Reply
  • Masud ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৭ এএম says : 0
    সন্ত্রাসী না লিখে জঙ্গি লেখা উচিৎ ছিলো
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ফয়সাল ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৩২ পিএম says : 0
    সরকারের উচিত এসকল সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি দেওয় এবং যৌত অভিযান পরিচালনা করা
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:২৭ পিএম says : 0
    তিন পার্বত্য জেলায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন আছে।এ সকল সন্ত্রাসী সংগঠনের মুল উৎপাটন করে সন্ত্রাস মুক্ত করা উচিৎ পার্বত্য তিন জেলাকে।
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৭ পিএম says : 0
    সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুড়িয়ে দাও জ্বালিয়ে দাও
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ত্রাগার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ