রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ টাকা কেজির চালের তালিকা তৈরিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালিকায় নাম রয়েছে এক ইউপি মেম্বার ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৯ সদস্যের। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে তালিকা থেকে অনেক হতদরিদ্র বাদ পড়লেও রয়েছে কোটিপতি ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী, ঠিকাদার, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকারসহ অসংখ্য ধনাঢ্য ব্যক্তির নাম। রয়েছে অবিবাহিত ও স্কুল পড়–য়ারাও। সরকার হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও প্রকৃতপক্ষে সুবিধা ভোগ করছেন বিত্তবানেরাই। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় পার পেয়ে যাচ্ছেন অনিয়মকারীরা। তালিকা অনুসন্ধান ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৭নং রাজৈর ওয়ার্ডের মেম্বার আ. রহিম হাওলাদার তার নিজের নাম ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, বাবা ইউসু আলী হাওলাদার, মা রবেজান বিবি এবং ভাই-বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নিসহ ৯ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। একই ওয়ার্ডে সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিন্টু হাওলাদার (লুৎফুল কবির মিন্টু), কোটিপতি ব্যবসায়ী আউয়াল তালুকদার, প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার নেয়ামুল ইসলামসহ অসংখ্য বিত্তবানের নাম রয়েছে তালিকায়। ৪নং পূর্ব খোন্তাকাটা ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদের নামও রয়েছে তালিকায়। চাকরির সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও তিনি ভাতা উত্তোলন করছেন। ২নং নলবুনিয়া ওয়ার্ডের তালিকায় রয়েছে এলাকার বিত্তবান ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারেফ হাওলাদারসহ অসংখ্য সচ্ছল ব্যক্তির নাম। এসব ব্যক্তিরা সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও রেশন কার্ডে তাদের নাম থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। এছাড়াও তালিকা তৈরির সময় বিত্তবানদের পদ-পদবি বাদ দিয়ে আংশিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আবার নিজের নাম ঠিক রেখে পদবি ও বাবার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনকি জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরও সঠিক দেয়া হয়নি অনেকের। মেম্বার, চেয়ারম্যানরা ধনী-গরিব বিচার না করেই তাদের পছন্দের লোকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে উপজেলার সর্বত্রই তালিকা তৈরিতে অনিয়ম করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তালিকা যাচাই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ অতুল ম-ল বলেন, ইউপি সদস্যসহ তার পরিবারের ৯ জনের নাম থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তালিকা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।