গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন ভুয়া বেঞ্চ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। তার নাম মো. রাশেদুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, রাশেদুল ইসলাম তার নিজ নাম ব্যবহার করে বেঞ্চ অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। সে কখনও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবার কখনও খুলনা ল কলেজের সাবেক ভিপি ছিল বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতো। বেঞ্চ অফিসার হিসাবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে মর্মে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামিদের জামিন/খালাস করানোসহ কোটের্র যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
ইমাম হোসেন বলেন, এছাড়াও পিস্তল (গান) লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধার করে দেওয়া ইত্যাদি নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসাবে টাকা নিত। সিআইডির অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত ৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বাকপটু প্রতারক বিভিন্ন অফিসের উচ্চ পদস্থ অফিসারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক আছে মর্মে বিশ্বাস জন্মিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। আসামির কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেক অডিও মেসেজ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গ্রেফতারের সময় রাশেদুলের কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড, একেএম জহিরুল হকের নামে ২ লাখ টাকা দেওয়ার ওয়ান ব্যাংকের একটি চেক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।