বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় চাঞ্চল্যকর চার খুন মামলার আসামি উজ্জ্বলকে (২০) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সে আওয়ামী লীগ নেতাসহ নিহত চারজনের অবস্থানের তথ্য ঘাতকদের সরবরাহ করেছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান গামার সঙ্গে অবস্থান করে উজ্জ্বল। সেখানে থেকে সে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সদস্যদের তথ্য সরবরাহ করে। পরে হত্যাকা- চালানো হয়। বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে ডিবি। একপর্যায়ে অপর আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বলের নাম জানা যায়। এরপর ডিবি (উত্তর) গুলশান জোনাল টিম বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। বাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্প এলাকায় গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন বাড্ডার ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মোল্লা ও ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ মানিক। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে মারা যান। ওই বছরের ২৩ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় গ্যারেজ মালিক ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের।
এর আগে গত বছরের ৩ মে বাড্ডা জাগরণী সংসদ ক্লাবে আড্ডা দেয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন রায়হানকে। ২০১৪ সালে বাড্ডা আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাটের ইজারায় মাহবুবুর রহমান গামার সঙ্গে ভাগে অংশ নেন রায়হানও। হাটের কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রায়হানকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সাড়ে ৫ কোটি টাকায় আফতাবনগর কোরবানির হাটের ইজারা পান মাহবুবর রহমান গামা। রায়হান ছিলেন বাড্ডার দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ মেহেদীর সমর্থক। মেহেদী হাটের ইজারা বাবদ ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে গামার কাছে। এই চাঁদা দাবির ঘটনার জের ধরেই মেহেদী, কাওসার, আরিফ, পবন ও পুলক নামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে আদর্শনগর পানির পাম্ম এলাকায় গামাসহ ৫/৬ জনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। উজ্জ্বল নিহত গামার সহযোগী ছিলেন। উজ্জ্বলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঘাতকদের কথোপথন হয়েছিল। ডিবি সন্দেহ করছে, গামার অবস্থান জানানোর জন্য উজ্জ্বল ঘাতকদের মোবাইলে ফোন করেছিল। এর আগে এ বছরের ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ চার খুনের ঘটনায় জুয়েল, সোহাগ, নাহিদ, কাব্য, ইকবাল ও রাজকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ডিবি পুলিশ মেহেদী, কাওসার, আরিফ, পবন, পুলক ও উজ্জ্বলের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।