পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস দেশের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ব্যাহত করছে। প্রশাসনের প্রধান ব্যাক্তি মন্ত্রী, সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত ব্যাক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। এতে করে নাগরিকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; তেমনি প্রশাসনের কাজেরও গতি হারাচ্ছে।
জানা গেছে, মন্ত্রী, এমপি এবং সচিব, অতিরিক্তসচিবসহ প্রায় শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ফলে মন্ত্রণালয় ও পরিদফতর, অধিদফতরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান প্রধানসহ ৭ কর্মকর্তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা, ১২ আন্তর্জাতিক সংগঠনের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে র্যাবকে বাদ দেয়া, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য সেøাভাক নাগরিক ইভান স্টেফানেকের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জোসেপ বোরেলকে চিঠি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে বাহাস চলছে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার স্ত্রীও করেনায় আক্রান্ত।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিষয়াদি নিয়ে যারা কাজ করেন তারা মনে করছেন, এই মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত দেশের জন্য খুবই অসুবিধার। তিনি র্যাবের উপর যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটা যাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেয়; সে লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করতেন।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মো. সাহাবউদ্দীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার স্ত্রী ও কন্যাও করোনায় আক্রান্ত। তারা এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) মাহমুদ ইবনে কাসেম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মাহমুদ ইবনে কাসেম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি অর্ধেক জনবল নিয়ে প্রশাসন পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শর্ত সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/ চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। তার মধ্যে ছিল, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে।
অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন। গত ২৪ জানুয়ারি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।