নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ভেন্যু নিয়ে এখন মুখোমুখি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও আরচ্যারি ফেডারেশন। ভেন্যু জটিলতাকে সঙ্গি করেই বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের খেলা। এদিন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলবে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ এবং মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রতিপক্ষ উত্তর বারিধারা ক্লাব। ম্যাচ দু’টি বিকাল ৩টায় শুরু হবে। তবে বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগের দিন ভেন্যু জটিলতায় হঠাৎই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে আরচ্যারি ফেডারেশন। প্রতিবাদ স্বরুপ তারা সংবাদ সম্মেলনও করেছে।
শুরুতে সাত, পরে চারটি ভেন্যুতে এবার বিপিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ক’দিন আগে তিনটি ভেন্যু চুড়ান্ত করেছিল বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই অবস্থান থেকেও সরে দাঁড়িয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’টি ভেন্যুতে শুরু হবে বিপিএলের খেলা। যার একটি হচ্ছে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম এবং অপরটি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম। শেষ মূহূর্তে বাদ পড়েছে নব-নির্মিত বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের ভেন্যু নিয়ে কারো আপত্তি না থাকলেও টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামকে বিপিএলের ভেন্যু করায় আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। কারণ এই স্টেডিয়াম তাদের স্থায়ী ভেন্যু। যেখানে সারা বছর আরচ্যাররা অনুশীলনে মগ্ন থাকেন। এখানে ফুটবল খেলা হলে জাতীয় দলের আরচ্যাররা অনুশীলনে বাধাগ্রস্থ হবে। বিষয়টি বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে আরচ্যারি ফেডারেশন। বিকালে আরচ্যারি ফেডারেশনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বলেন,‘২০২০-২১ মৌসুমে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ১৩ সপ্তাহে বিপিএলের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এবার ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫টি এবং মার্চে ১২টি ম্যাচ রাখা হয়েছে। অথচ বিশ্ব আরচ্যারিতে র্যাঙ্কিং বাড়াতে এ বছর আমাদের ৪১টি কার্যক্রম রয়েছে। যার সবকটিই এই স্টেডিয়াম কেন্দ্রিক। এখন আমাদের (আরচ্যারি) কি হবে, আমরা কোথায় যাবো?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে রোলারসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির বাফুফের একজন কর্মচারী। আমি তাকে বললাম, এগুলো কি? সে জানায়, মাঠ ঠিক হচ্ছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ফুটবল খেলা হবে এখানে। অথচ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। বরং কথা বলতে চাইলে বাফুফের এক সদস্য, যিনি টঙ্গীর স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদও, তিনি টেলিফোনে ঐদ্ধ্যত্বপূর্ণ আচরণ করেছেন আমার সঙ্গে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ মইনুল ইসলাম যোগ করেন, ‘যেখানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন বাফুফেকে, সেখানে আমাদেরকে অন্ধকারে রেখেই তারা আরচ্যারিকে বরাদ্দ দেওয়া এই স্টেডিয়ামে নিজেদের খেলা চালাচ্ছে।’
সপ্তাহে তিনটি খেলা থাকায় এখানে আরচ্যারদের অনুশীলন মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে বলে জানান আরচ্যারির সভাপতি, ‘আগের মতো তিন সপ্তাহে একটি খেলা হলেও চলতো। কিন্তু সপ্তাহে তিনটি খেলা হলে আমরা কিভাবে অনুশীলন চালাবো। তাহলে বলুক, আমরা পৃষ্ঠপোষকদের অর্থ ফিরিয়ে দিই। এখানকার বিদ্যুৎ ও পানির বিল তো আমরাই দিচ্ছি। বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজেদের মতো করে পুরো স্টেডিয়াম সাজিয়েছি। অথচ এখন আমাদের স্টেডিয়াম আর আমাদের নেই।’
লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর আমাদেরকে যে প্রথমবার ফিকশ্চার পাঠানো হয়েছিল, সেখানে প্রথম রাউন্ডের ৫৭ ভাগ খেলা ছিল এই স্টেডিয়ামে। আর ইতোমধ্যে বাফুফে যে ফিকশ্চার দিয়েছে, সেখানে ৭৫ ভাগ দিনই পড়েছে ফুটবল খেলা। এভাবে চললে তো আরচ্যারি উন্নতি সম্ভব না। আমি বুধবার দুপুরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশার খবর হলো- প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাফুফেকে তিনি বলেছেন যাতে সপ্তাহে একদিন খেলার ব্যবস্থা করে তারা। আমাদের এখন সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।