নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দলকে দিয়েছেন এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচাইতে দাপুটে জয়ের সুখ। তামিম ইকবাল সেই ধারা টেনে আনলেন পরের ম্যাচেও। তবে এবার বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ঠিকই ভিত গড়ে দিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে সেসবকে ছাপিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটারদের পর বাকি কাজটুকু দক্ষ হাতেই সারলেন বোলাররা। মিলিত চেষ্টায় সহজেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়রথ থামাল মিনিস্টার ঢাকা। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিপিএলে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে তারকা খচিত দলটির জয় ৫০ রানে। ১৮১ রান তাড়ায় ১৩১ রানেই গুটিয়ে গেছে ইমরুল কায়েসের অপরাজিত কুমিল্লা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে দলের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম। তবে জুতসই হয়নি। দলীয় ৭ রানেই ফিরে যান শাহজাদ। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পড়েন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। এরপর ইমরান উজ্জামানকে নিয়ে হাল ধরেন তামিম। গড়েন ৪৮ রানের জুটি। করিম জানাতের বলে বোল্ড হয়ে যান ইমরানও। তার বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেও বাঁধেন সখ্য। স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। আরও একটি বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়ে ফিফটির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম। কিন্তু তানভির ইসলামের বলে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। ৩৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন ড্যাশিং এই ওপনোর। তামিম আউট হলেও শুভাগত হোম, আন্দ্রে রাসেল, নাঈম ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে দলের ইনিংস বড় করার চেষ্টা চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ২৫, পঞ্চম উইকেটে ২০, ষষ্ঠ উইকেটে ৩০ ও সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটিতে বড় পুঁজিই পায় দলটি।
দিনের ম্যাচ হিসেবে বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই খালি হাতে বিদায় নেন লিটন দাস। রুবেল হোসেনের বলে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দেন ইমরান উজ্জামানের হাতে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের মচেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ফাফ দু প্লেসিও। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংস মেরামত করে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি ফের বদলে দেন ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল। সে ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন তিনি। ফেরান এ দুই সেট ব্যাটারকে। কার্যত তখনই হার দেখতে শুরু করে কুমিল্লা।
জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে ক্যামেরুন ডেলপোর্টকেও হারায় কুমিল্লা। আরিফুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারৎ দিয়ে রানআউট হন এ প্রোটিয়া ব্যাটার। এরপর অবশ্য করিম জানাতকে নিয়ে কিছুটা চেষ্টা চালান আরিফুল। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট খুইয়ে বড় ব্যবধানেই হারতে হয় দলটিকে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল। ৩০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। জানাতের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ঢাকার পক্ষে ১৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান আন্দ্রে রাসেল। ২টি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও কায়েস আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।