Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্গ পেতে ক্রমানুসারে অপেক্ষায় থাকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম


চারপাশে দাম্পত্য কলহ নিয়ে কৌতুকের শেষ নেই। স্থান-কাল নির্বিশেষে স্ত্রী সামলাতে স্বামীর হিমশিম খাওয়ার কাহিনী যেন হিট। এ নিয়ে গল্প-উপন্যাস, নাটক-সিনেমা কম নেই। কিন্তু সেগুলোকে হেলায় মিথ্যা প্রমাণ করলেন থাইল্যান্ডের এক যুবক। একটি-দুটি নয়, রীতিমতো আট স্ত্রীকে নিয়ে এক ছাদের নিচে সুখের সংসার করছেন তিনি। তাদের কারও মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাঁটি নেই বলে দাবি করেছেন ওং ড্যাম সোরোট নামের ওই যুবক। সম্প্রতি স্থানীয় একটি টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সোরোট। শুনিয়েছেন আট স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসারের গল্প। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর যুবকের কথা শুনে অবাক হয়েছেন অনেকেই। যেখানে দুই স্ত্রীকে নিয়ে এক বাড়িতে থাকা দুষ্কর, সেখানে আটজনকে রাজি করালেন কী করে? আর বিয়েই বা হলো কীভাবে? থাই যুবকের দাবি, প্রত্যেক বিয়ের আগেই ভালোবাসার সম্পর্ক হয়েছিল তার। সোরোট জানান, এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে আলাপ হয় প্রথম স্ত্রী নাং স্প্রাইটের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই প্রেম, এরপর বিয়ে। বাজার করতে বেরিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলকে পছন্দ হয়। এটিও ছিল প্রথম দর্শনে প্রেম। আর সেই প্রেমের টানে বিবাহিত জেনেও সোরোটকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান নাং। তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সঙ্গে আলাপ হয় হাসপাতালে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে সোরোটের পরিচয় যথাক্রমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে। সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মায়ের সঙ্গে এক মন্দিরে গিয়ে। অষ্টম জনের বিষয়টি আরও অদ্ভুত। পাতায়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে আলাপ হয় অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সঙ্গে। অথচ সেই সেসময় চার স্ত্রী সোরোটের সঙ্গেই ছিলেন। পেশায় ট্যাটু আর্টিস্ট এ যুবক জানান, আট স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সুখের সংসার করছেন। স্ত্রীরা তার যত্ন নেন। তাদের মধ্যেও কোনো গোলমাল নেই। স্ত্রীরাও স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, সোরোট খুবই দায়িত্ববান পুরুষ। তিনি সবার যত্ন নেন। সোরোটের প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এরই মধ্যে এক পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আরও দুই স্ত্রী শিগগির সন্তান প্রসবের অপেক্ষায় রয়েছেন। থাই যুবক জানান, তার আট স্ত্রী চারটি ঘরে ঘুমান। আলাদাভাবে স্বামীর সঙ্গ পেতে ক্রমানুসারে তাদের অপেক্ষা করতে হয়। তবে এ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই বলে দাবি করেছেন সোরোট। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এক বিবাহিত যুবককে বিয়ে করতে নারীদের এত উৎসাহ কেন? অনেকে বলছেন, ভালোবেসে নয়, সম্পত্তির লোভেই আট নারী এক স্বামীর সংসার মেনে নিয়েছেন। তবে সোরোট সে দাবি মানেন না। তার কথায়, পরিবারে সবারই আলাদা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। আর আমার স্ত্রীরা খাবার থেকে শুরু করে প্রসাধনী, হস্তনির্মিত জিনিসপত্র বিক্রি বা টুকিটাকি কাজ করে নিজেরাই অর্থ আয় করেন। জিও টিভি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ