Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমরা প্রস্তুত, ফ্রন্টলাইনের ইউক্রেনীয় সেনারা বলছেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনগুলো তুষারাবৃত এবং বড় বন্দুকগুলো যেন চুপচাপ হয়ে আছে। স্নাইপাররা অবশ্য এই শীতের মধ্যেও সেখানে পড়ে আছেন। তবে জীবন হাতে নিয়েই সেখানে অবস্থান করতে হচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাদের। ২০১৪ সালে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডনবাস অঞ্চলের কিছু অংশ দখলে নেওয়ার সময় থেকেই অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে সময় সামরিক, বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়। এখন পশ্চিমা নেতারা আরও খারাপ কিছুর বিষয়ে সতর্ক করছেন। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় রাশিয়ার আক্রমণের আশঙ্কা করছেন তারা। বাস্তবে এমনটা ঘটলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সুবাদে পূর্ব ইউক্রেন হবে রাশিয়ার জন্য সংঘাত শুরুর একটি সহজ জায়গা। ২৬ বছরের একজন ইউক্রেনীয় সেনা মারিয়া। পরিখায় কালাশনিকভ নিয়ে থাকা এই নারী নিখুঁত ম্যানিকিউরে সজ্জিত। তিনি ইউক্রেনের ৫৬তম পদাতিক ব্রিগেডের অংশ। সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল ঠেকাতে সেনাবাহিনী তার নামের প্রথম অংশ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছে। মারিয়া বলেন, ‘আমি রাজনীতি এড়ানো এবং টিভি না দেখার চেষ্টা করি। খুব বেশি চিন্তিত না হওয়ার চেষ্টা করি। তবে আমরা প্রস্তুত। আমরা অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি যে এটি একটি সাধারণ অনুশীলনের মতো হবে না। এটি সবার জন্য কঠিন হবে। কিন্তু আমাদের মনোবল সুউচ্চ এবং আমরা আমাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি।’ মারিয়ার দুই ভাই ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডে কর্মরত। তার কনিষ্ঠ ভাই শিগগিরই একজন ‘ট্যাংক গানার’ হিসেবে ফ্রন্টলাইনে যাবেন। অবসরপ্রাপ্ত মা-বাবা তার চার বছরের ছেলের যত্ন নিচ্ছেন। মারিয়া বলেন, ‘তাকে (শিশু সন্তান) ছেড়ে যাওয়া খুব কঠিন ছিল। তবে আমার বয়স যখন ছয় বছর তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগদান করা। আমি ভাবিনি যে ফ্রন্টলাইনে নামতে পারবো। কিন্তু আমি এখানে আছি বলে আমার আফসোস নেই।’ কাছেই সশস্ত্র অবস্থায় থাকা তার এক ভাই কুড়াল দিয়ে কাঠ কাটলেন। তীব্র ঠান্ডা সেখানকার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মতোই একটি অব্যাহত হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মারিয়ার যুদ্ধ তার জন্মভূমির ভবিষ্যতের জন্য। তবে ইউক্রেনের চেয়ে তার নিজের ভাগ্য আরও অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। রাশিয়া নতুন শীতল যুদ্ধের ব্যাটল লাইন আঁকছে। ন্যাটোর ভবিষ্যৎ আকার এবং ইউরোপের প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাই এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিবিসি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ